Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

প্রশ্নের মুখে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কীভাবে তারা এত টাকা বানালেন?

Amin Al  Rasheed

আমীন আল রশীদ

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচিত কিছু দুর্নীতিবাজকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এত টাকা কামালেন যে, দেশেই থাকতে পারলেন না, তাতে লাভটা কী হলো?’ প্রশ্ন হলো, তারা এত টাকা বানালেন কী করে? রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তারা যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনলেন; রাজধানীর অভিজাত এলাকায় কোটি কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনলেন; দেশের বিভিন্ন স্থানে রিসোর্ট বানালেন; নিজের কিংবা শ্বশুরবাড়িতে অট্টালিকা তৈরি করলেন; স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের নামে ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার এফডিআর করলেন- তার কিছুই সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী কিংবা তারা যেসব মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করতেন কিংবা তাদের যারা পদস্থ কর্মকর্তা- তাদের কেউই টের পাননি?

তারা এতই স্মার্ট চোর যে রাষ্ট্রযন্ত্রের চোখে ধুলা দিয়ে এতকিছু করে ফেললেন? নাকি সবাই তাদের কীর্তিকলাপ জানতেন; কিন্তু কিছু বলার সাহস পাননি? নাকি সংশ্লিষ্টরা দেখেও না দেখার ভান করেছেন? নাকি তারা এতই শক্তিশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি? সম্প্রতি দুর্নীতি ইস্যুতে তুমুল আলোচিত রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান। সৎ ও সাহসী অফিসার হিসেবে যার সুনাম রয়েছে।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি বলেছেন, ওয়ান-ইলেভেন তথা সেনা নিয়ন্ত্রিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি যখন এনবিআরের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে, তখন নানা অভিযোগে তিনি মতিউর রহমাকে বদলির আদেশ জারি করেন; কিন্তু তার সেই বদলি ঠেকাতে তৎকালীন সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদবির করা হয়। শুধু তাই নয়, স্বয়ং সেনাপ্রধান মঈন উ আহমেদও তাকে ফোন করে মতিউর রহমানকে বদলি না করার অনুরোধ জানান। বদিউর রহমান বলেন, ‘মতিউর রহমান এতই প্রভাবশালী অফিসার যে, বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার বেডরুমেও তার যাতায়াত ছিল।’

বদিউর রহমানের এই বক্তব্য সঠিক হলে এর মধ্য দিয়ে এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, মতিউর রহমান বেশ ঝানু অফিসার। তিনি যে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দুর্নীতি করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন তাই নয়, বরং এই কাজ তিনি বহু বছর ধরেই করছেন এবং তার এই টাকা কামানোর পেছনে তিনি ব্যবহার করেছেন রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিদেরও।

প্রশ্ন হলো, তিনি কীভাবে ওই ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের এত ঘনিষ্ঠ হলেন? কতটা ঘনিষ্ঠ হলে এনবিআরের একজন কর্মকর্তার বদলি ঠেকাতে স্বয়ং সেনাপ্রধান তদবির করেন! তার মতো আরও যাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তাদের সবাই কি এরকম ক্ষমতাবানদের পৃষ্ঠপোষকতা বা আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কাজগুলো করেছেন বা তাদের নাম ভাঙিয়ে টাকা-পয়সা কামিয়েছেন?

দুটি উপায়ে রাতারাতি ধনী হওয়া যায়। একটি বাস্তবে, আরেকটি রূপকথায়। রূপকথায় রাতারাতি ধনী হওয়া যায় আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে থাকলে। তখন ওই প্রদীপে ঘষা দিলেই দৈত্য এসে বলবে হুকুম করুন মালিক। তখন চেরাগের মালিক বলবেন, আমাকে রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারায় ৩ হাজার স্কয়ার ফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক বানিয়ে দাও কিংবা একটা সুরম্য অট্টালিকা বানিয়ে দাও অথবা একশো বিঘা জমি কিনে দাও ইত্যাদি; কিন্তু এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। বাস্তবে দ্রুত ধনী হওয়া যায় ব্যবসা করে। যদিও বৈধ উপায়ে তথা মানুষকে না ঠকিয়ে, ব্যাংক থেকে লোন না নিয়ে সেটি শোধ না করে, মোটা অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি না দিয়ে ব্যবসা করেও দ্রুত ধনী হওয়া কঠিন।

তারপরও একজন ব্যবসায়ী যখন কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন বা তিনি যদি একশ বিঘা জমির মালিক হন; তিনি যদি রাজধানীর অভিজাত এলাকায় সুরম্য অট্টালিকা তৈরি করেন, সেটি নিয়ে সাধারণ মানুষ খুব একটা আশ্চর্য হয় না বা এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে না; কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; তিনি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে আসীন থাকলেও যে বেতন পান, সেই টাকা দিয়ে ঢাকা শহরে তিন-চার কোটি টাকা একটি ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়। অর্থাৎ একজন সৎ সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে নিজের জীবনধারণের পরে শত বা হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া রীতিমতো অসম্ভব। তাহলে যে কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বিপুল বিত্ত-বৈভবের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তারা কীভাবে এগুলো অর্জন করলেন? সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কয়েকটি উপায়ে বিপুল সম্পদের মালিক হতে পারেন।

১. ঘুষ। সরকারি এমন কোনো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়া কঠিন যেখানে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষমতাবান না হলে বিনা ঘুষ ও হয়রানিতে কোনো সেবা পাওয়া যায়। ঘুষ এখন এতটাই সিস্টেম্যাটিক হয়ে গেছে যে, এখন যিনি ঘুষ দেন, তিনিও এটাকে আর অপরাধ মনে করেন না। অনেকে স্বেচ্ছায় ঘুষ দেন কাজটা দ্রুত করার জন্য।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল- যেখানে তিনি বলেছেন, ‘যেহেতু দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না, ফলে এটাকে ওয়ে অব লাইফ এবং লিগ্যালাইজ (আইনসিদ্ধ) করে দেয়া উচিত।’ একজন সাবেক অর্থমন্ত্রীও ঘুষকে বলেছিলেন ‘স্পিড মানি’। সুতরাং যে দেশের নীতিনির্ধারক ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাই দুর্নীতি দমনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ কিংবা সরকারকে পরামর্শ না দিয়ে পরোক্ষভাবে দুর্নীতির পক্ষে কথা বলেন, সেই দেশে দুর্নীতি কমানো শুধু কঠিন নয়, অসম্ভব ব্যাপার। রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিকে সিস্টেম্যাটিক রেখে, দুর্নীতি মেনে নিয়ে বা এর সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সবক দিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা সাংঘর্ষিক কি না- সেটিই বড় প্রশ্ন।

২. বড় ব্যবসায়ী বা অন্য যে কোনো পেশার মানুষকে অবৈধ সুবিধা দেয়ার বিনিময়েও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ঘুষের অঙ্কটা নির্ভর করে কী পরিমাণ সুবিধা দেয়া হলো এবং সেই সুবিধা দেয়ার সঙ্গে ঝুঁকির পরিমাণ কেমন- তার ওপর।

৩. যারা কোটি কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দেন, তাদের অনেকেই রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান; কিন্তু তারপরও তারা শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা দিয়েই বিপুল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মোটা অঙ্কের ঘুষও দিতে হয়। এক কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিতে তাকে হয়তো ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এটা উইন উইন সিচুয়েশন। অর্থাৎ দুপক্ষেরই লাভ। মাঝখান দিয়ে ক্ষতি হয় দেশের।

৪. দুর্নীতির একটি বড় উপায় সরকারি কেনাকাটা। একটি পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকা, বালিশের দাম ৬ হাজার টাকা, মোবাইল চার্জারের দাম ২৩ হাজার টাকা, ২০ টাকার হ্যান্ড গ্লাভসের দাম ৩৫ হাজার টাকা, ১৫ টাকার টেস্ট টিউবের দাম ৫৬ হাজার টাকা, মাল্টিপ্লাগের দাম ৬ হাজার টাকা, পাঁচশ টাকার রেক্সিনের দাম ৮৪ হাজার টাকা, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানায় লোহা বা স্টিলের এক কেজি নাটের দাম ১ কোটি টাকা, আধা কেজি ওজনের একটি লোহার স্প্রিংয়ের দাম ১৬ লাখ টাকা- ইত্যাদি লোমহর্ষক খবরও গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এই টাকাগুলো কাদের পকেটে গেছে? সরকারি কেনাকাটার নামে প্রতি বছর সরকার কত টাকা খরচ করে আর সেখান থেকে কত টাকার জিনিস কিনতে গিয়ে কত টাকা চুরি ও লুটপাট হয়- সেই হিসাব কি কারো কাছে আছে?

৫. সরকারি অর্থে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে একসঙ্গে অনেক টাকা চুরির প্রধান মাধ্যম। নদী খননসহ এরকম প্রকল্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই কিংবা প্রকল্প না করেও টাকা তুলে নেয়ার কথাও শোনা যায়। সেক্ষেত্রে ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার থেকে শুরু করে সকলেই টাকার ভাগ পান- এটিও বেশ পুরোনো অভিযোগ।

৬. আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর অনেক অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে নাগরিকদের ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা (চাঁদা) আদায়ের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে বড় ব্যবসায়ী এবং সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্ক আছে, এমন অনেককেই সরকারবিরোধী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বাগিয়ে নেয়ার কথাও শোনা যায়।

সম্প্রতি ঢাকা সিটি এসবিতে (নগর স্পেশাল ব্রাঞ্চ) কর্মরত অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জনের খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এরপরেই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন এনএসআই কর্মকর্তা আকরাম হোসেন। যার বিরুদ্ধে ছয় কোটি ৭০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এসবি ও এনএসআইর কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের ওপর নজরদারি করেন; কিন্তু এই বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই যখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে এরকম বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া যায়, তখন জনমনে নানা প্রশ্ন ওঠে। এই বাহিনীর কিছু অসৎ লোক ব্যবসায়ী ও রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন তৈরির ভয় দেখিয়ে বিপুল অর্থ আদায় করে বলে যে অভিযোগ আছে, এইসব ঘটনায় সেটিই প্রমাণিত হয় কি না- সে প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

৭. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জমি দখল, কিছু জমি কিনে বাকিটা দখল বা জমি বিক্রি করতে বাধ্য করার কথাও শোনা যায়। ফলে এটিও রাতারাতি ধনী হওয়ার একটি উপায়।

৮. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তথা পরিচয় ব্যবহার করে নানাবিধ বৈধ অবৈধ ব্যবসা, নানা জায়গায় বিনিয়োগ করেও অনেকে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যান বলে শোনা যায়।

এর বাইরে নিশ্চয়ই আরও অনেক তরিকা আছে, যা সাধারণ মানুষের চিন্তায়ও নেই। প্রশ্ন হলো, যে প্রক্রিয়াতেই তারা এভাবে প্রচুর টাকার মালিক হন না কেন, সেটি কি রাষ্ট্রের কোনো বাহিনী বা নজরদারিকারী প্রতিষ্ঠানের গোচরে আসে না?

গণমাধ্যমের খবর বলছে, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অবৈধ সাত পাসপোর্টের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। প্রশ্ন হলো, তিনি যে এভাবে পাসপোর্ট তৈরি করলেন, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো স্তরের কর্মকর্তারা জানতেন না? কীভাবে একজন লোক নিজের নামে সাতটি পাসপোর্ট তৈরি করেন? তার মানে রাষ্ট্রের সিস্টেমে কোথাও বড় ধরনের ঘাপলা রয়ে গেছে? নাকি পুরো সিস্টেমটাই দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পুরো সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত সবাই কোনো না কোনোভাবে সুবিধাভোগী?

তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, এভাবে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া হাতেগোনা কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। আগেও অনেকের নাম এসেছে; কিন্তু এই সংখ্যাটি বাস্তবের কত শতাংশ? ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত সকলেই ফেরেশতা! সুতরাং কতজন ধরা পড়বেন বা রাষ্ট্র আসলেই কি এরকম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে যারা বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের সবাইকে ধরতে চায় কি না- সেই প্রশ্নও জনমনে আছে।

আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ