সাবেক আইজিপিসহ ২৩ জনের তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিল দাখিলের নির্দেশ

জুলাই গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত শেষ করে আগামী ২৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন। অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন ট্রাইব্যুনাল উপস্থিত আটজনসহ মামলার সব (২৩ জন) আসামির বিরুদ্ধে আগামী ২৮ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেন। সেদিন এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। অন্যদিকে আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজনিন নাহার।

যেসব ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়
সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) আবুল হাসান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপি মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, ডিএমপি গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং ডিবি ঢাকা উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

এদিকে, ট্রাইবুনালের শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‌‘আজ ট্রাইব্যুনালে তৃতীয় পিটিশন ছিল পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি এবং র‍্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সবচেয়ে মারাত্মক। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতন করার সঙ্গে জড়িত। অনেককে এই আলেপ উদ্দিন গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। তাদের নিষ্ঠুরতম পন্থায় নির্যাতন করেছিল। বৈদ্যুতিক শক দেয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর অভিযোগ এই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে’।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সবচেয়ে মারাত্মক কাজ এই আলেপ উদ্দিন করেছিলেন- একজন আসামিকে গুম করে রাখার সময়ে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে (স্বামীকে হত্যার) রমজান মাসে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এমন তথ্য প্রমাণ আমাদের হাতে এসেছে। আমরা বিষয়গুলো ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছি’।