শুল্ক কমিয়ে চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত
১৪ মাস পর বাসমতি ছাড়া সব ধরনের চাল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। পাশাপাশি কমিয়েছে বাদামি-সাদা, সিদ্ধ এবং ভুসি চালের রপ্তানিশুল্কও।
চালের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বছরের জুলাই মাসে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দেশটি। স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে বাদামি-সাদা, সিদ্ধ এবং ভুসি রপ্তানিতে আরোপ করেছিল ২০ শতাংশ শুল্কও।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম শস্য রপ্তানিকারক দেশটির অভ্যন্তরীণ চালের মজুদ বেড়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে নতুন ফসল কাটতেও প্রস্তুত কৃষকরা। এরই প্রেক্ষিতে সরকার শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফের চাল রপ্তানি চালু এবং শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকরী হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকরা বাসমতি ছাড়া অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন। রপ্তানিশুল্ক কমিয়ে বাদামি চাল এবং ভুসি চালের উপর ১০ শতাংশ এবং অ-বাসমতি সাদা চালে শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে সরকার স্পষ্ট করেনি যে, বেসরকারি ব্যবসায়ীদের রপ্তানির অনুমতি দেওয়া বা রপ্তানি বাণিজ্য সরকারি চুক্তিতে সীমাবদ্ধ থাকবে কি-না।
রয়টার্সের মতে, রপ্তানিশুল্ক হ্রাস ভারতের রপ্তানি আয় কমিয়ে দিলেও চালান বাড়াবে। এবং থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মায়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোকে চালের দাম কমাতে বাধ্য করবে।
চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার পর গত ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার চালের মজুদ ছিল ৩২ দশমিক তিন মিলিয়ন টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৩৮ দশমিক ছয় শতাংশ বেশি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম বেড়েই চলছিল। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ১১ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো লাভজনক বিদেশি বাজারগুলোতে বাসমতি চাল পাঠানোর বিষয়েও সুযোগের অভাব সম্পর্কে অভিযোগ করেন হাজার হাজার কৃষক। তাদের সাহায্য করতেই বাসমতি চাল রপ্তানিতে ফ্লোর মূল্য সরিয়ে দেয় সরকার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে