কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়
ভারতের কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেখানকার নাগরিক স্বেচ্ছাসেবক সঞ্জয় রায়।
গত বছরের ৯ আগস্ট হাসপাতালের একটি সেমিনার কক্ষে পোস্ট গ্রাজুয়েট ওই শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণের পর খুনের বহুল আলোচিত ওই ঘটনায় গত বছর দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ এবং হাসপাতালে ধর্মঘটসহ আন্দোলন চলে বেশ কয়েক সপ্তাহ।
৩৩ বছর বয়সী একমাত্র আসামি সঞ্জয় রায়কে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দোষী সাব্যস্ত করেন শিয়ালদহের আদালত। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক অনির্বাণ দাস জানান, সোমবার (২০ জানুয়ারি) তার সাজা ঘোষণা করা হবে।
এএফপি জানায়, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় শহর পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার হাসপাতালটিতে ভিকটিমের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে নারীর প্রতি সহিংসতার দীর্ঘস্থায়ী ইস্যুকে আবারও তুলে ধরেছিল।
এটি সরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত নিরাপত্তার দাবিতে ডাক্তারদের কয়েক সপ্তাহের আন্দোলনের সূচনা করে। কলকাতা এবং ভারতের অন্যত্র সংহতি জানিয়ে ডাক্তারদের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন হাজার হাজার নাগরিক। বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করে দেন, যা সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর উপায়গুলোর বিষয়ে পরামর্শ দেয়।
ওই ঘটনাটি ২০১২ সালে দিল্লির একটি বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার সাথে তুলনা করা হয়, যেটিও দেশজুড়ে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভ তৈরি করে।
গত কয়েক মাস ধরে আদালতে রুদ্ধদ্বার কক্ষে হয়েছে আরজি কর মামলার শুনানি। আসামি সঞ্জয় রায়ের বিচার ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আইনি ব্যবস্থার দ্রুত সম্পন্ন হয়। তবে এক সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া বিচারের রায় ঘোষিত হয় উন্মুক্ত আদালতে।
ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও আসামি সঞ্জয় আদালতের প্রশ্নের জবাবে দাবি করেন, তিনি দোষী নন।
সকালে সঞ্জয় রায়কে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শত শত মানুষ।
রায়ের পর ভুক্তভোগীর পরিবার বলছেন, আরও জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত না করায় তারা হতাশ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে