সমুদ্রে ডুবন্ত বাংলাদেশি মৎসজীবীদের উদ্ধার করলেন ভারতীয় মৎসজীবীরা
উত্তাল সমুদ্র থেকে ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। তারা এখন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চল পাথরপ্রতিমা এলাকায় রয়েছেন। তবে একজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বঙ্গপোসাগরের কেঁদুয়া দ্বীপের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আবহাওয়া খারাপ থাকার খবরে বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্র থেকে উপকূলে ফেরার সময় ‘এফবি পারমিতা’ নামের ভারতীয় একটি ট্রলার কেঁদুয়া দ্বীপের কাছে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের দেখতে পায়। এরপর তাদের উদ্ধার করে উদ্ধার পাথরপ্রতিমা থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সকলেই সুস্থ রয়েছেন।
ভারতীয় মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’
‘এফবি কৌশিক’ নামে বাংলাদেশের ওই ট্রলারের মাঝি মুহাম্মদ শরিফ বলেন, আচমকা ঢেউয়ের ধাক্কায় আমাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। আমরা কোনোমতে ট্রলারের বাঁশের খুঁটি ধরে ভাসছিলাম। কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি। কিন্তু ইব্রাহিম তালুকদার নামে আমাদের একজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে খবর দিয়েছি।
এ বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীদের চোখে পড়ে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী জলে ভাসছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যান। ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জানা গেছে তাদের একজন এখনো নিখোঁজ।’
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা যেন নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন।’
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে