Views Bangladesh Logo

সীমান্তে পাকিস্তানের গুলিবর্ষণে ভারতীয় সেনা নিহত

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তীব্র গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে নিহত হয়েছেন আরও একজন ভারতীয় সেনা। এ নিয়ে আন্তঃসীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে (এলওসি) চলমান সংঘাতে ভারতীয় পক্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে এবং আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

নিহত সৈনিক হরিয়ানার পুঞ্জ জেলার দীনেশ কুমার শর্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সাইনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিক আপনি শহীদ হওয়ায় গর্বিত। জাতি আপনার আত্মত্যাগ কখনও ভুলবে না’।

‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং পাকিস্তানি পাল্টা হামলার একদিন পর দুইপক্ষের রাতভর গোলাগুলি অব্যাহত ছিল বুধবারও (৭ মে)।

বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘৭-৮ মে রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সীমান্ত পোস্টগুলোর সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি এবং আখনুরের বিপরীতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে ছোট অস্ত্র ও কামান ব্যবহার করে বিনা উস্কানিতে গুলি চালায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী আনুপাতিকভাবে জবাব দেয়’।

২২ এপ্রিল ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত কাশ্মীরের পহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রটিতে থাকা ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই পর্যটক। হামলাটি পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে এটিকে সবচেয়ে গুরুতর সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর একটি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

ওই হামলার পর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে ভারত। ২৪ এপ্রিল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার একাধিক সেক্টরে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ বাড়িয়েছে পাকিস্তানি সেনারা।

পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মতে, এই হামলায় দুই শিশুসহ ৩১ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হন। জবাবে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। এতে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৩ জন আহত হন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

ভারতের ওই ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) নয়টি সন্ত্রাসী শিবির লক্ষ্য করে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। শিবিরগুলো লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং হিজবুল মুজাহিদিনসহ (এইচএম) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাথে যুক্ত বলে দাবি সেনাবাহিনীর।

পক্ষান্তরে প্রতিশোধ হিসেবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কামান এবং মর্টার বোমাবর্ষণ চালায় পাকিস্তান, যার লক্ষ্যবস্তু ছিল নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামনের গ্রামগুলো।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ