ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও আগ্নেয়গিরির লাভায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, নিখোঁজ ২৭
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে সপ্তাহান্তে আকস্মিক বন্যা ও আগ্নেয়গিরির ঠান্ডা লাভা প্রবাহে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এসব ঘটনায় আরও ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ সংস্থা।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম সক্রিয় আগ্নেয়গিরির ঠান্ডা লাভা সুমাত্রা দ্বীপের দুটি জেলায় গড়িয়ে পড়ে। এতে জেলা দুটির রাস্তাঘাট, বাড়িঘর এবং মসজিদ প্লাবিত হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সোমবার এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আবদুল মুহারি বলেন, ‘প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই দুর্যোগে নিহতদের সংখ্যা ৫০ জন নথিভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই দুর্যোগে ২৭ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এবং ৩৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ৩ হাজার ৩৯৬ জনকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘হতাহতদের সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্যের আপডেট অব্যাহত থাকবে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে যত দ্রুত সম্ভব ভারী যন্ত্রপাতি আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার অভিযান জরুরি ছিল। কারণ জীবিতদের উদ্ধারে ছয় দিন সময় পেয়েছিল উদ্ধারকারী দল।
আব্দুল মুহারি বলেন, বন্যা ও লাভার প্রবাহে ৭১টি বাড়ি পুরোপুরি ভেসে গেছে এবং ১২৫টি বাড়ি মাঝারি ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিএনপিবি জানিয়েছে, বন্যা এবং ঠান্ডা লাভা প্রবাহের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে বিমান ও স্থলপথ ব্যবহার করে সাহায্য সরবরাহ করা হচ্ছিল। যার মধ্যে কয়েক জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে সেতুর প্রয়োজন ছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যায় পশ্চিম সুমাত্রা, আগম, তানাহ দাতার, পাদাং পাঞ্জাং এবং পাদাং প্যারিয়ামনের মোট ৪টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মূলত ইন্দোনেশিয়ায় বর্ষাকালে ভূমিধস ও বন্যার ঝুঁকি থাকে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে সুমাত্রা দ্বীপের মারাপি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত হয়। এতে অন্তত ২৪ জন পর্বতারোহী মারা যান। তাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার আগে ২০২২ সালে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যা হয়। সেই সময় প্রায় ২৪ হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হলেও দুই শিশুর মৃত্যু হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে