মানবিক উন্নয়ন না করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখিয়ে টিকে থাকা যায় না
সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের লক্ষ্যে সম্প্রতি দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন প্রত্যক্ষ করি, এটা কোনো তাৎক্ষণিক ঘটনার ফলশ্রুতি নয়। বরং বলা যেতে পারে, বহুদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত। সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়, তাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশ গ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে। এক পর্যায়ে তাতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে।
এই শিক্ষার্থী আন্দোলনের পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে আগের সরকার বিভিন্ন উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তাদের সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে প্রদর্শন করেছেন; কিন্তু গত সরকার আমলে যে মাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে সেই অনুপাতে দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়নি। অর্থনীতির ভাষায় এ ধরনের উন্নয়নকে বলা হয় ‘জবলেস ডেভেলপমেন্ট’ বা কর্মসংস্থানবিহীন উন্নয়ন। এমন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে যখানে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে; কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না।
এ মুহূর্তে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ; কিন্তু কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি ব্যতীত কোনোভাবেই দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়; কিন্তু আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি তেমন একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেগুলো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত করছে। সরকার অনেক পাটকল, চিনিকল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। পাটকল এবং চিনি কল বন্ধ করে দেবার কারণে লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে। বেকারত্বের কি জ্বালা, তা একমাত্র বেকার ব্যক্তিই বুঝেন। বাংলাদেশের শিক্ষা, চিকিৎসা খাতে অন্তত ৩ থেকে ৪ লাখ পদ খালি রয়েছে। এগুলো পূরণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তি খাতের কিছু মানুষকে অর্থ-বিত্ত সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়া। ব্যক্তি খাতের ওপর সঠিকভাবে গুরুত্ব না দেবার ফলে এই খাতটিও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নয়ন অর্জন করতে পারছে না। ব্যাংক থেকে ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের যে অর্থায়ন করা হয় তার একটি বড় অংশই ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয় অথবা বিদেশে পাচার করা হয়। গত ১৫ বছরে দেশে দুর্নীতির মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনোভাবেই দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাচ্ছে না। যদিও আগের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলে আসছিলেন; কিন্তু বাস্তাবে জিরো টলারেন্স নীতির কোনো প্রতিফলন তাদের কাজে পরিলক্ষিত হয়নি। বিশেষ কিছু গোষ্ঠীকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থবিত্ত তৈরির সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সমাজে বিত্তবান এবং বিত্তহীনের মধ্যে বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েই চলেছে।
সমাজে একদিকে বিত্তবানের সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ আজ বড়ই বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতির যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে বাস্তবে মূল্যস্ফীতির হার তার চেয়ে অনেক বেশি। বাজারে গেলেই টের পাওয়া যায় প্রতিটি জিনিসের মূল্য কীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পণ্য মূল্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সিন্ডিকেটের তৎপরতা অনেকটাই কমে গেছে। ফলে তারা আগের চেয়ে তুলনামূলক কমমূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন।
বিগত সরকার আমলে বড় বড় মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের আবশ্যকতা কতটা তা নিয়ে তেমন কোনো যাচাই-বাছাই করা হয়নি। সড়ক-ব্রিজ ইত্যাদি অবকাঠামোগত নির্মাণকে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখানো হচ্ছে; কিন্তু জাতীয় স্বার্থে এসব প্রকল্প কতটা আবশ্যক তা ভাবা হয়নি। এমন সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যেখানে লাভ আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় করে এসব প্রকল্প বাস্তবাযন করা হচ্ছে। অধিকাংশ প্রকল্পই নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় হয়। সাধারণ মানুষ এসব প্রকল্প থেকে নির্ধারিত সময় সুবিধা ভোগ করতে পারছে না; কিন্তু কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হলে সে জন্য কাউকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। সরকারের অনুগত এক শ্রেণির সুবিধা ভোগি মানুষ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করে নিজেদের বিত্ত-বৈভব বাড়িয়ে চলেছে।
গত ১৫ বছরে দেশে যেভাবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পেয়েছে তা অকল্পনীয়। উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্য হচ্ছে কিছু মানুষকে আর্থিক সুবিধা দেয়া। কর্মসংস্থানের বিষয়টি নিদারুণভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। একটি দেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ অথবা তারও বেশি যখন কর্মক্ষম অর্থাৎ ১৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে থাকে সেই অবস্থাকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলা হয়। একটি জাতির জীবনে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা একবারই আসে। কারও কারও মতে, হাজার বছরে একবার এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৬ শতাংশই কর্মক্ষম; কিন্তু সেই বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম মানুষগুলোর জন্য আমরা উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছি না। একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে তরুণ অর্থাৎ কর্মক্ষম জনসংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ যে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে এই বোধটুকুই অনেকের মধ্যে নেই। ফলে ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেটুকু হচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে তরুণদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা দেখতে পাচ্ছে উচ্চ শিক্ষা শেষ করলেও রাষ্ট্র তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।
শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দানের মাধ্যমে বেকার সমস্যা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এজন্য কর্মসংস্থানমূলক ব্যক্তি খাতের বিকাশ জরুরি; কিন্তু ব্যক্তি খাতও সঠিকভাবে বিকশিত হচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশ কিছু পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব শূন্য পদ পূরণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় সেখানেও নানা সমস্যা রয়েছে। দলীয় সমর্থক এবং উৎকোচ প্রদান ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানেই চাকরি পাওয়া যায় না।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায়। দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ ছাড়া কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়া যায় না। একটি ছোটখাটো চাকরি পেতে হলেও ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। ফলে যারা চাকরিপ্রত্যাশী, তারা হতাশ হচ্ছে। এর ওপর আবার কোটা সুবিধার নামে উপযুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করার সুযোগ। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে রয়েছে কোটা সুবিধা। ৫৬ শতাংশ চাকরি কোটা প্রাপ্তদের জন্য নির্ধারিত ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সুবিধা ছিল। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো আপত্তি ছিল না; কিন্তু সেই কোটা সুবিধা যখন মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে এবং নাতি-নাতনি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হলো, তখন শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হলো। যদি ব্যক্তি খাতে পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকত অথবা যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে সেখানে চাকরি পাবার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিতে না হতো তাহলে শিক্ষার্থীরা হয়তো এতটা ক্ষুব্ধ হতো না।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু হয়। তার আগ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা নির্ধারিত ছিল। এটা নিয়ে সমাজে খুব একটা প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি; কিন্তু যখন সেই কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয় তখন তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাগ করে কোটা সুবিধা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেন। সেই নির্দেশনার কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না। আইনের মাধ্যমে কোটা সুবিধা আবারও পুনর্বহাল করা হয়। মূলত এটা নিয়েই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। তারা আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সমর্থন জানায়। কারণ তারা সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হলে সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে দমন-পীড়ন শুরু করে। গুলি করে ছাত্রদের হত্যা করা হয়। ফলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি জনসমর্থন আরও বৃদ্ধি পায়। কোটা সংস্কারের দাবি এক দফা অর্থাৎ সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সাধারণ মানুষ সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাদের সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। দেশে দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। প্রত্যেকটি স্থানে জুলুম হচ্ছিল। চাঁদাবাজি চলত অনেকটা প্রকাশ্যেই। সরকারি দলে থাকলে তাকে কেউ কিছু বলতে পারবে না। যা ইচ্ছে তাই করা যাবে। এসব অনাচার অবিচার সরকারের জনপ্রিয়তাকে ক্ষুণ্ন করে। জুলুম এবং অর্থনৈতিক সংকট সরকারকে বিপদে ফেলে দেয়। এ ছাড়া নির্বাচনি ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করা হয়েছে। যে কারণে মানুষ নির্বাচনে কোনো ভোট দিতে পারছিল না। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনের নামে ছাত্রলীগের কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দেয়া হয়। নির্বিচারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানো হয়; কিন্তু এতকিছু করার পরও সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারল না।
সরকারপ্রধান পদত্যাগ করার পর তিন-চার দিন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে থাকবে। এ ধরনের আচরণ করা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে দোষি ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করা। আগামীতে যাতে আবারও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক কালচারের সংস্কার করা আবশ্যক।
আনু মুহাম্মদ: বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে