ইচ্ছাকৃত হোক আর অনিচ্ছাকৃত হোক, ঋণখেলাপি মানে ঋণখেলাপি
যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে, বাংলাদেশে যেহেতু পুঁজিবাজীর খুবই দুর্বল তাই এদেশের অর্থনীতিতে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শিল্প-কারখানা এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজির চাহিদা মেটানোর জন্য মূলত ব্যাংকের কাছে যেতে হয়। বাংলাদেশে বিগত একযুগে যে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা সুসংহত ও তরান্বিত করতে একটি সুষ্ঠু ও গতিশীল ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকা একান্ত প্রয়োজন; কিন্তু সার্বিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত খুবই নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো প্রকৃত উদ্যোক্তাদের কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সহযোগিতা দিতে পারছে না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যেসব সমস্যা বা প্রতিকূলতা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে তা এক দিনে বা হঠাৎ করেই সৃষ্টি হয়নি। বছরের পর বছর এই খাতটি নানা সমস্যায় জড়িয়ে রয়েছে। দিন দিন সমস্যার ব্যাপকতা এবং গভীরতা শুধু বাড়ছেই। এ খাতকে সুশৃঙ্খল ও গতিশীল করা জরুরি।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে অসহনীয় পর্যায়ের খেলাপি ঋণ। বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের স্বাভাবিক চলার পথকে বিঘ্নিত করছে। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে দেশের ব্যাংকিং খাত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০২৩-এর ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর ছাড়কৃত ঋণের ৯ শতাংশ। তবে এই উঁচু হারও আসল চিত্র নয়, বাস্তবতা আরও অনেক খারাপ বলে প্রতীয়মান হয়। কারণ, এই প্রদর্শিত খেলাপি ঋণ অবলোপণকৃত ঋণ, পুনঃতপশিলীকৃত ঋণ এবং মামলাধীন প্রকল্পের নিকট দাবিকৃত ঋণের অংক বাদ দিয়ে হিসাবকৃত। যাই হোক, খেলাপি ঋণের অঙ্ক নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের স্থিতি এবং তা আদায়ে ব্যর্থতা যে এই খাতের জন্য মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করেছে তা অস্বীকার করা যাবে না।
যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ অস্বাভাবিক রকম বেশি তাদের স্বাভাবিক ব্যাংকিং ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছাড়কৃত ঋণের ১৪ শতাংশের বেশি তাদের ক্ষেত্রে এই বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দ্রুত খেলাপি ঋণের পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার অনুশাসন দেয়া হয়েছে এসব ব্যাংকে। অর্থাৎ ব্যাংকের ওপর খেলাপি ঋণ আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং চাপ দেয়া হচ্ছে; কিন্তু যাদের কারণে খেলাপি ঋণের সৃষ্টি হচ্ছে অর্থাৎ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যারা ফেরত দিচ্ছেন না তাদের ওপর তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে না। আমি সব সময় বলার চেষ্টা করেছি যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেন না তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হোক, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা খেলাপি ঋণ প্রদানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালাতে হবে এবং ব্যত্যয় ঘটলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তারা কি উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ দিয়েছেন? নাকি এমন কেউ কেউ আছেন যারা ঋণ আবেদনকারীর সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে অনুপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অথবা ঋণ ফেরত পাওয়া যাবে না সেটা জেনেও নিজে সুবিধা নিয়ে ঋণ দিয়েছেন, সেটা খুঁজে বের করা দরকার।
দেখা যাচ্ছে, এক শ্রেণির ঋণ গ্রহীতার মধ্যে এমন একটি ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা ফেরৎ না দিলেও কোনো অসুবিধা হবে না। কেননা যারা এ কাজটি করে আসছেন, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হচ্ছে না। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই মনোভাবের আমূল পরিবর্তন সাধন করতে হবে। কারা ঋণ নিয়ে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ফেরৎ দিচ্ছেন না তাদের তথ্য ব্যাংক তথা কর্তৃপক্ষের জানা থাকার কথা। ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার জন্য দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার গ্রহণ করা হলে খেলাপি ঋণ আদায় কঠিন হওয়ার কথা নয়। আবার ঋণখেলাপিদের যদি জবাবদিহির আওতায় আনা না হয়, তাহলে খেলাপি হওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। তাই এসব ঋণ আদায়ে আইনের কার্যকর প্রয়োগ জরুরি, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে তা প্রয়োগ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লেনদেনে সুদের হার বেড়েছে। যে লক্ষ্যে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা হচ্ছে, ঋণ গ্রহণ যাতে আরও ব্যয়সাপেক্ষ হয় এবং ব্যাংকে অর্থ রাখলে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় যার ফলে বাজারে অর্থ প্রবাহ এবং ফলে মূল্যস্ফীতি যেন কমে আসে। এটা অবশ্য উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের একটি সাধারণ আর্থিক কৌশল। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পলিসি রেট একাধিকবার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি এসব দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে; কিন্তু এই ফমুর্লা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কাজে লাগেনি। এর বড় কারণ হচ্ছে যোগসাজশের ব্যবস্থার উপস্থিতি অর্থ্যাৎ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গৃহীত নীতি ও পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বাদ সেধে চলেছে। এই দুষ্টচক্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণে না আনলে সঠিক পদক্ষেপের সুফল পাওয়া যাবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোও যথাযথ কাজ করবে না। দুষ্টচক্র আমদানিকৃত এবং দেশেজ পণ্য উভয়ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এবং সদর্পে বিরাজমান।
বেশ কিছু ব্যাংক আমানত সংকটে ভুগছে। খবরে প্রকাশ, যাদের কাছে উদ্বৃত্ত অর্থ আছে তারাও তা ব্যাংকে গচ্ছিত রাখছেন না, তাদের হাতে সেই অর্থ থাকছে। এর একটি কারণ হতে পারে ব্যাংকের ওপর মানুষে আস্থার ঘাটতি। জনগণের আস্থার ঘাটতি থাকলে ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। ব্যাংকিং খাতে বিদ্যমান নানা সংকট কাটাতে হলে এই খাতের ওপর মানুষের আস্থার উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। উদ্বৃত্ত অর্থের মালিক তাদের অর্থ হাতে হাতে রাখছে এটাও সম্পূর্ণ ঠিক নয়। অনেকেই তা বিদেশে পাচার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে ব্যাংকিং খাতে সন্দেহজনক লেনদেনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের হার বৃদ্ধি পাওয়া মোটেও স্বস্তিদায়ক সংবাদ নয়। কেন সন্দেহজনক লেনদেন বাড়ছে, তা অনুসন্ধান করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকেই ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ডলার কিনে তা বিদেশে পাচার করছে।
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করার একটি কথা মাঝে মাঝেই শোনা যায়; কিন্তু কেউ তো আর নিজে থেকে বলবেন না তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রভাব কাজ করে। ফলে ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি চিহ্নিতকরণের উদ্যোগ খুব একটা ফল দেবে বলে মনে হয় না। ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত খেলাপি তা আমার মতে বিবেচনার বিষয় নয়। ঋণখেলাপি মানে ঋণখেলাপি। কেউ কোনো ধরনের অনিবার্য কারণ বশত সংকটে পড়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তা তাকেই তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এই বিষয়টি সহজভাবে নেয়া যাবে না।
আগামী সময়ে খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঋণদানকালে সতর্কতা অবলম্বন করা। এমন কাউকে ঋণ প্রদান করা ঠিক হবে না যে ব্যক্তি পরবর্তী সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবেন না বা করতে পারবেন না। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি, ঘটনা ঘটে যাবার পর ব্যবস্থা গ্রহণের চেয়ে ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কোনো কোনো ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ব্যক্তির প্রভাব বিবেচনা করে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই না করেই ঋণ প্রদান করে। আবার অনেক সময় ঋণ আবেদনকারী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করে থাকেন। এসব ঋণ পরবর্তী সময়ে খেলাপিতে পরিণত হয়। কাজেই ঋণ আবেদন প্রাপ্তির পর তা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হলে সেই ঋণ পরবর্তী সময়ে খেলাপি হবার আশঙ্কা কম থাকে। ঋণদানকালে আবেদনকারীর অতীত কার্যক্রম, কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকলে পরিশোধের অবস্থা ইত্যাদি কার্যকরভাবে বিবেচনা করা উচিত ।
আর ঋণদানকালে বন্ধকী সম্পত্তির সঠিক আর্থিক মূল্যায়ন করতে হবে। কোনোভাবেই যেন বন্ধকী সম্পদের অতিমূল্যায়ন করা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বন্ধকী সম্পদের মূল্য সঠিকভাবে করা হলে খেলাপি ঋণের প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে। বর্তমানে আবেদনকৃত ঋণের বিপরীতে ১০০ : ১২৫ অথবা ১০০ : ১৫০ শতাংশ মূল্যের সম্পদ ব্যাংকের অনুকূলে বন্ধক দিতে হয়। কেউ নিশ্চয়ই ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে সোয়াগুণ-দেড়গুণ টাকার সম্পদ হারাতে চাইবেন না; কিন্তু জানা যায় অনেক সময়ই বন্ধকী সম্পদের অতিমূল্যায়ন করা হয়। ফলে কোনো কারণে বন্ধকী সম্পদ বিক্রি করার প্রয়োজন হলে তা দিয়ে ব্যাংকের পাওনা ঋণের অর্থ পুনর্ভরণ করা সম্ভব হয় না।
বিভিন্ন সময় এমনো দেখা গেছে, কোনো কোনো ব্যাংক একই পরিবারের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিচ্ছে। একটি প্রকল্প হয়তো ঋণখেলাপি হচ্ছে সেই গ্রুপের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এটা তখনই সম্ভব যখন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে যোগসাজশ গড়ে ওঠে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অদক্ষতার জন্যও অযোগ্য প্রকল্পে ঋণ দেয়া হয়। বস্তুত বিভিন্ন শক্তিশালি চক্র নানাভাবে ব্যাংক থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ঋণের নামে।
এই দুষ্টচক্রগুলোকে অবশ্যই ভাঙ্গতে হবে। অন্যথায় ব্যাংকিং খাতে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে না। কোনো কোনো ঋণখেলাপি ‘খুবই শক্তিশালি’; কিন্তু তারা নিশ্চয়ই সরকারের চেয়ে অধিক শক্তিশালি নন। কাজেই সরকার চাইলে এই দুষ্টচক্রগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে বলেই আমি বিশ্বাস করি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে। যারা ব্যবস্থাপনায় আছেন তাদেরকে দায়িত্বশীল হতে হবে। অন্যথাই তাদেরকেও জবাবদিহির মুখোমুখী করতে হবে।
সাম্প্রতি দেশের ব্যাংকিং খাতে কিছু কিছু আইনি সংস্কার করা হয়েছে এগুলো নিয়ে নানাভাবে সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ঋণখেলাপিদের ছাড় দেবার জন্যই এসব আইনি সংস্কার করা হয়েছে। যেসব আইনি সংস্কার করা হয়েছে তা কতটা যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণকে দ্রুত সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। ব্যাংকিং খাতে রাজনৈতিক এবং অন্যান্য প্রভাব বলয়ের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও চেয়ারম্যান, ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে