বার্সাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এমন নাটকীয় সেমিফাইনাল খুব কমই দেখা গেছে। সান সিরোর আলো ঝলমলে রাতে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের লড়াই যেন এক ফুটবলীয় উপাখ্যান। ম্যাচজুড়ে দুলতে থাকা উত্তেজনার দোলাচলে শেষ হাসি হেসেছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বহু কাঙ্ক্ষিত ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা।
দুই লেগ মিলিয়ে ফল ৭-৬। প্রথম লেগে ৩-৩ গোলে ড্রয়ের পর ফিরতি লেগেও নির্ধারিত সময় শেষে স্কোরলাইন ছিল ৩-৩। অতিরিক্ত সময়েই ভাগ্য নির্ধারিত হয়। ম্যাচের ৯৯তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ফ্রাত্তেসির গোলেই নিশ্চিত হয় ইন্টারের জয়।
সান সিরোর ম্যাচে যেন দুই অর্ধে দুই রকম রূপকথা। প্রথমার্ধে ম্যাচের রাশ ছিল পুরোপুরি ইন্টারের হাতে। ২১ মিনিটে লাওতারো মার্তিনেজ ও বিরতির আগে হাকান চালহানোয়লুর গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। এরিক গার্সিয়া ও দানি ওলমো ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর ৮৮ মিনিটে রাফিনিয়ার গোল বার্সাকে এগিয়ে দেয় এবং মনে হচ্ছিল জয়টা বুঝি তাদেরই।
তবে শেষ সময়ে নাটকীয়ভাবে ফিরে আসে ইন্টার। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আচেরবির গোলে ৩-৩ সমতা ফেরে ম্যাচে। অতিরিক্ত সময়ে বদলি হিসেবে নামা ফ্রাত্তেসির গোলেই জয় পায় ইন্টার।
ম্যাচশেষে আবেগাপ্লুত ফ্রাত্তেসি বলেন, আমি খুব খুশি যে ম্যাচটি শেষ করতে পেরেছি। ব্যথায় চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা লাগছিল। ধন্যবাদ জানাই ফিজিওথেরাপিস্টদের, কারণ তারা না থাকলে আমি খেলতেই পারতাম না। এই জয় তাদেরই উৎসর্গ করছি।
৩১ মে মিউনিখে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ হবে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজি বা ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের মধ্যে জয়ী দল।
বার্সার তরুণ প্রতিভা লামিনে ইয়ামালদের জন্য এটি হতাশাজনক বিদায়। ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন এদিন সান সিরোতেই মিলিয়ে গেল।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে