দেশের নতুন ভবিষ্যৎ রচনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভবিষ্যৎ রচনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা রচনার এই সময়ে আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের সকল বন্ধু ও অংশীদাররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের জনগণের পাশে থাকবে।’
সোমবার (১২ অগাষ্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার চত্বর এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা আমাদের মূল অগ্রাধিকারগুলোর অন্যতম হয়ে থাকবে। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে বসবাসকারী সমস্ত বিদেশি নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার প্রতিও সংবেদনশীল রয়েছি।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকার সকল ধর্মীয় ও জাতিগত নৃ-গোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সহিংসতা বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন সহ্য করা হবে না।’
উপদেষ্টা বলেন, সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারই হলো অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের কার্যক্রম পুনরায় পুরোপুরি শুরু করার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতির চাহিদা অনুযায়ী দয়িত্বশীলতার সঙ্গে জাতিকে সেবা দিয়ে যাবে।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, সরকার যত দ্রুত সম্ভব একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুদলীয় নির্বাচনী গণতন্ত্রে মসৃণ উত্তরণের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ রাখবে।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম এবং জনগণের গুণগত পরিবর্তন, অর্থবহ সংস্কার এবং স্থায়ী রূপান্তরের আকাঙ্খার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এখন এক নতুন সূচনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের তরুণদের অদম্য শক্তি, সাহসিকতা ও দৃঢ়তায় গভীরভাবে অনুপ্রণিত বোধ করছি। আমাদের তরুণদের স্বপ্ন অনুযায়ী তাদের একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ দেয়াই হবে সরকারের মধ্যে আমাদের ভূমিকা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে