গণহত্যা ইস্যুতে হুমকির মুখে আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা
আধুনিক সময়ের প্রায় সব যুদ্ধের মতোই ইসরায়েল এবং হামাসের লড়াইয়ের আইনগত নানা দিক নিয়ে নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। আগেও এমন বিতর্ক হয়েছে। গাজায় আগের সমস্ত সামরিক অভিযানেরমতো এবারও ইসরায়েল যুক্তি দিচ্ছে-আত্মরক্ষার্থে তাদের এই অভিযান। জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা আছে-আত্মরক্ষার অধিকার আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি। এই মূল নীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সশস্ত্র হামলা হলে আত্মরক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার যে কোনো রাষ্ট্রেরই রয়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সেই সশস্ত্র হামলার মাত্রা কত হলে কোনো রাষ্ট্র আইনগতভাবে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা আঘাত করতে পারবে? সিংহভাগ আন্তর্জাতিক আইনজীবী মনে করেন বেসামরিক এলাকায় রকেট ছুড়ে কোনো দেশের একটি অংশের স্বাভাবিক সামাজিক জীবন ব্যাহত করলে তা সশস্ত্র হামলা বলে বিবেচিত হবে এবং জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা তা সমর্থন করে; কিন্তু কোনো অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তেমন আত্মরক্ষা আইনত বৈধ হবে তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে এবং গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধের চেষ্টা করতে গিয়ে বিশ্বের দুটি সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলের অদম্য শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) পৃথক দুটি ঘোষণায় গাজায় ইসরায়েলকে ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য করা উচিত ছিল। আইসিজের বিচারকদের একটি প্যানেল দাবি করেছিল যে ইসরায়েল অবিলম্বে দক্ষিণ গাজার রাফায় চলমান আক্রমণ বন্ধ করুক। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল আক্রমণ ও নৃশংসতার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। গত ২৩ মে গাজা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হওয়া শরণার্থী পরিবারগুলোর একটি কথিত নিরাপদ অঞ্চলে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল।
তাছাড়া বিমান হামলার ফলে তাঁবুতে ঘেরা একটি এলাকায় আগুন ধরে যায়, কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের মধ্যে অনেকে জীবন্ত পুড়ে যান। এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় একটি শিশুর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মাথা ধরে আছেন এক ব্যক্তি। আরও শতাধিক, যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু, ভয়াবহ দগ্ধসহ গুরুতর জখম হয়েছেন। ইসরায়েল সেখানকার প্রায় সব চিকিৎসা-সুবিধা ধ্বংস করেছে, যা রাফায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করতে পারত। সেই সঙ্গে ইসরায়েল বেদনানাশক ওষুধের মতো মৌলিক চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণা কমাতে পারত। এ ঘটনাগুলো ঠিক সেটারই ফলাফল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কয়েক মাস আগে সতর্ক করেছিলেন, রাফায় ইসরায়েলি হামলা একটি 'লাল রেখা' তৈরি করবে; কিন্তু ইসরায়েল এটি অতিক্রম করার মুহূর্তে মার্কিন ‘লাল রেখা’ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাফার ছবিগুলোকে ‘হৃদয়-বিধ্বংসী’ বলে একটি বিবৃতি দিয়ে তাদের দায় সেরেছেন।
গত ২৩ মের হামলার পরও এ ধরনের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী দুই দিন পর একই এলাকায় আবার হামলা চালায়। তারা ২১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। জানুয়ারিতে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য কার্যকরভাবে বিচার করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব আদালত রাফায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করেছিলেন। এই আদালতে একটি বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কয়েক বছর লাগতে পারে। আইসিজে ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় ঝুঁকিপূর্ণ কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে ইসরায়েলের বিরত থাকা নিয়ে জোর দিয়ে বলেছিলেন। আদালত দৃঢ়ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাফায় চলমান হামলা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে।
ইসরায়েল সম্ভবত আদালতকে অস্বীকার করার সাহস করেছিল। কারণ, এটি নিশ্চিত ছিল যে এতে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থন ছিল। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে গাজার ক্রমাগত খারাপ হওয়া বিপর্যয় বর্ণনা করার জন্য তাদের নেতিবাচক শব্দ শেষ হয়ে গেছে। তারা এটিকে পৃথিবীতে থাকা নরক বলে অভিহিত করেছেন। আইসিজের রায়ের কয়েক দিন আগে, অবশেষে তার সমধর্মী কোর্ট, আইসিসির চাকা ঘুরতে শুরু করে। আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং তিন হামাস নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা গাজায় বহু মাস ধরে ত্রাণ বিতরণে বাধা দিচ্ছেন এবং দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছেন। আইসিসি ইসরায়েলের জন্য আইসিজের চেয়ে আরও বিপজ্জনক বিচারব্যবস্থা হতে পারে। ইসরায়েল নিশ্চিতভাবে গাজায় একটি গণহত্যা করেছে কি না, সে বিষয়ে আইসিজের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কয়েক বছর লাগতে পারে।
অন্যদিকে আইসিসি কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন। এ ছাড়া বিশ্ব আদালতের সিদ্ধান্তের কোনো বাস্তব প্রয়োগের ব্যবস্থা নেই। কারণ, ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে। অন্যদিকে আইসিসির একটি রায় ১২০টির বেশি রাষ্ট্রের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করবে, যারা রোম সংবিধি মেনে এটা অনুমোদন দিয়েছে। ফলে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট সেই দেশগুলোর মাটিতে পা রাখলে তাঁদের গ্রেপ্তার করার সুযোগ তৈরি হবে। ফলে বিশ্বের অনেক অংশ তাদের উভয়ের জন্য সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে।ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অনুমান করার কোনো কারণ নেই যে শুধু নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের মধ্যেই আইসিসির তদন্ত শেষ হবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আইসিসি আরও অনেক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমন জারি করতে পারেন। বিভিন্ন কারণে ইসরায়েল এই আদালতকে (আইসিসি) ইহুদি বিদ্বেষী বলে অভিযুক্ত করে এবং তার কর্মকর্তাদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। দেশটি আদালতের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ওয়াশিংটনও তার শক্তি প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত ছিল। সিনেট কমিটির শুনানিতে আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের রিপাবলিকান প্রস্তাবকে সমর্থন করবেন কি না জানতে চাইলে বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তর দিয়েছিলেন,আমরা একটি উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া খুঁজতে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে কাজ করতে চাই। অথচ নথিপত্র অনুসারে আইসিসির বিরুদ্ধে মার্কিন ব্যবস্থা সম্ভবত ২০২০ সালে বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বারা আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মডেলে হবে। দখল- কৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল ও আফগানিস্তানে যুদ্ধা পরাধের জন্য যথাক্রমে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের বিরুদ্ধেই তদন্ত করার হুমকি দিয়েছিল আইসিসি। এরপর আইসিসির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ স্তরে আর্থিক দুর্নীতি ও অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এ অভিযোগগুলোর কোনো প্রমাণ যদিও কখনোই দেয়া হয়নি।
সেই সময়ে প্রধান প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার এবং আইসিসির অন্য বিচারকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার হুমকি দিয়েছিলেন। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত আইসিসির হাত থেকে আমাদের বন্ধু ও মিত্রদের রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। ইসরায়েলি ওয়েবসাইট ৯৭২ ও ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি যৌথ তদন্তে দেখা গেছে, দৃশ্যমানভাবে মার্কিন সমর্থনে ইসরায়েল এক দশকের বেশি সময় ধরে আইসিসির বিরুদ্ধে একটি গোপন যুদ্ধ চালাচ্ছে।
ইসরায়েল যেহেতু অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে প্রবেশের তত্ত্বাবধান করে, তাই এটি আইসিসি কর্মকর্তাদের সরাসরি যুদ্ধাপরাধের তদন্তে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে। গার্ডিয়ান ও ৯৭২ ওয়েবসাইট সূত্র অনুসারে, ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপ এসেছিল। করিম খান বলেছেন, আদালতের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ একটি ফৌজদারি অপরাধ। এরই মধ্যে মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটরদের একটি দল খানকে একটি হুমকিমূলক চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরায়েলকে টার্গেট করলে আমরা আপনাকে টার্গেট করব। খান নিজেই বলেছেন, তিনি ভয় দেখানোর প্রচারণার মুখোমুখি হয়েছেন।
প্রশ্ন হলো, এটি খান ও আইসিসির বিচারকদের কতটা প্রভাবিত করছে? তারা তাদের তদন্ত চালিয়ে যাওয়া এবং সেটা ত্বরান্বিত করতে কতটা বাধার মুখে পড়বেন? ভয় দেখানো সত্ত্বেও আইনি ফাঁদ দ্রুত ইসরায়েলের ঘাড়ে শক্ত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে গাজায় ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ড এবং স্কুল ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে বেসামরিক অবকাঠামো প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসের বিষয়টি উপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি তাণ্ডবে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত, পঙ্গু ও এতিম হয়েছে। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আরও কয়েক হাজার মানুষ ধীরে ধীরে অনাহারে মারা যাচ্ছেন। এসব নৃশংসতা ও গণহত্যা বন্ধ করার জন্য বিশ্ব আদালত ও যুদ্ধাপরাধ আদালতের ওপর নৈতিক চাপ বাড়ছে। আইসিজে ও আইসিসি উভয়ই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিপদ সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে সচেতন। এ কারণে প্রত্যেক আদালত ইসরায়েলি নৃশংসতা মোকাবিলায় খুব ধীরে ও সতর্কতার সঙ্গে এগিয়েছেন। ২০২৩ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি কর্তৃক জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে যুক্তরাষ্ট্র জোরালোভাবে সমর্থন করেছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনকে অবিরাম অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের পক্ষপাত দুস্ট ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা আর কত দিন এ প্রশ্নকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে পারবে? অস্বীকার করার উপায় নেই, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের দ্বারা বিশ্বব্যাপী সংঘটিত যুদ্ধ ও দখলদারত্বের মধ্যে সাদৃশ্য রয়েছে। আইসিসির প্রসিকিউটর স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি খুব ভালোভাবে বোঝেন যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র চায় আইসিসি এবং আইসিজে গাজা গণহত্যা নিয়ে নিশ্চুপ থাকুক। আমানপুরকে তিনি বলেন, আমরা যদি আন্তর্জাতিক আইন সমানভাবে প্রয়োগ না করি, তবে মানুষ হিসেবে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাজার মানুষ; কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন তোয়াক্কা না করা কিংবা আইনকে নিজেদের মতো ব্যবহার করার এ প্রক্রিয়া এখানেই থেমে থাকবে না। এমনভাবে চললে শেষ পর্যন্ত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আন্তর্জাতিক আদালত বহুবার বায় দিয়েছে যে যুদ্ধের সময় মানবাধিকার আইন স্থগিত হয়ে যায় না। বলা হয়েছে, মানবাধিকার নিশ্চিত করতেই মূলত যুদ্ধ সম্পর্কিত আইন করা হয়েছে। তবে বাস্তবে, বিশেষ করে লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করার সিদ্ধান্তে তা কতটুক অনুসরণ করা হয় তা নিয়ে বিস্তর উদ্বেগ রয়ে গেছে। ইসরায়েলের ভেতর আরব অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে যে সংঘাত চলছে তার বেলায় যুদ্ধ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইন কার্যকরী হবে না। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণ তখন বিবেচিত হবে মানবাধিকার আইনের আওতায়। তবে প্রধান কথা হলো-যুদ্ধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন হয়তো যুদ্ধের বিভীষিকা কমানোর জন্য কিছুটা কাজ করতে পারে; কিন্তু এই আইন পুরোপুরি মেনে কোনো যুদ্ধ যদি কখনো হয়ও, তার পরিণতিও হবে ভয়াবহ।
রায়হান আহমেদ তপাদার: গবেষক ও কলাম লেখক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে