হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছিল ইরান
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসি। এ দুর্ঘটনায় রাইসি ছাড়াও নিহত হন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর তাদেরকে সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান। তবে লজিস্টিক কারণে সহায়তার অনুরোধটি গ্রহণ করা যায়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমবার (২০ মে) এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ইরান সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলাম, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের যে কোনো অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমরা সহায়তা দেব।’
মিলার আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত মূলত লজিস্টিক কারণে আমরা সেই সহায়তা দিতে পারেনি।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, রবিবার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনার পর সোমবার সকালে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের ভেতর থেকে রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ আটজন যাত্রীর মরদহে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পির হোসেইন কোলিবান্দ।
তিনি দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে জানান, দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের মরদেহ ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
এরইমধ্যে এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বনেতারা। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন-রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে