Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

বৈরুতে হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ বলছে, শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলি দাহিয়েহতে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে বিমান হামলায় হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় তার সাথে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্ট কমান্ডার আলি কারাকিও। আইডিএফের দাবি, গোষ্ঠীটির সিনিয়র নেতারা যখন বৈঠক করছিলেন, তখন সেখানে হামলা চালানো হয়। সদর দপ্তর ছাড়াও দক্ষিণ বৈরুতের এ জায়গাটি হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি দাবি করেন, নাসরাল্লাহকে লক্ষ্য করেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল।

‘এখানে বার্তা খুব পরিষ্কার। ইসরায়েলি নাগরিকদের যারা হুমকি দেবেন, তাদের কীভাবে খুঁজে বের করতে হয়, সেটা আমরা জানি। সেটা উত্তরে, দক্ষিণে কিংবা আরো দূরে হলেও আমরা খুঁজে নিতে পারবো’- বলেন হালেভি।

এক্স-এ পোস্ট করা বিবৃতিতে আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নির্মূল করেছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে। তিনি আর বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়াতে পারবেন না।’

হিজবুল্লাহকে কাবু করতে বেশ কয়েকদিন ধরে লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিভিন্ন আস্তানায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ বৈরুতের দাহিয়েহ শহরতলীর হারেত হরিক এলাকার প্রধান কার্যালয় লক্ষ্য করে বিমান থেকে ফেলা একের পর এক ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণে ছয়টি উঁচু আবাসিক ভবন ধসে যায়। ভবনগুলোর নিচেই হিজবুল্লাহর প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন নাসরুল্লাহ।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত দুজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত উদ্ধার করা আহত ৭৬ জনের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দাহিয়েহতে ওই হামলা চালানোর একদিন পর শনিবারও বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলী এবং লেবাননের অন্যান্য এলাকায় নতুন তরঙ্গ বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

পুরোদমে এই হামলা শুরু হয় গত সোমবার, যাতে নিহত হয়েছেন অন্তত ছয় শতাধিক লেবাননি, যার অধিকাংশই হিজুবুল্লাহর সশস্ত্র যোদ্ধা। এরও সপ্তাহ খানেক আগে লেবাননে পেজার এবং ওয়াকিটকিসহ নানা ধরনের তারহীন যন্ত্র বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি আলাদা ঘটনায় হাজার হাজার পেজার এবং রেডিও ডিভাইস বিস্ফোরিত হওয়ায় কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন।

এই হামলার আগে হিজবুল্লাহকে 'সর্বোচ্চ শক্তি' দিয়ে আঘাত করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের ভাষণেও তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনের আগে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান বন্ধ হবে না।


মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ