ইসরায়েল ইরান সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে!
ভয়ানক এক অসম যুদ্ধ চলছে পশ্চিম এশিয়ায়। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় শিশু-নারী-পুরুষসহ নিহত হয়েছে ৪১ হাজার ৫০০ এবং গুরুতর আহত হয়েছে ৯৬ হাজার জন। বাস্তবে প্যালেস্টাইনের হামাসশাসিত গাজা অঞ্চলকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। কার্যত গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস, প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ, আল-কসম ব্রিগেড এবং আল-কুদস ব্রিগেডের সব প্রতিরোধ শক্তি নিঃশেষিত হয়ে গেছে।
গাজার সমস্যা এখন যুদ্ধ নয়, মানবিক বিপর্যয়। অধিকাংশ মানুষের মাথার ওপর ছাদ নেই, বিদ্যুৎ, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২২ লাখ গাজাবাসীর চরম দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন খাদ্য ওষুধ পাঠাচ্ছে, এমনকি তারও একটি বড় অংশ ইসরায়েলের মধ্য দিয়েই অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও গাজা যুদ্ধ একরকম সমাপ্ত।
ফলে এবার ইসরায়েল নজর দিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর দিকে। গত এক সপ্তাহে ইসরায়েল সর্বাত্মক হামলা চালাচ্ছে লেবাননে থাকা হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিগুলোর ওপর। ইসরায়েল হিজবুল্লাকে নিঃশেষ করার অভিযান শুরুর পরপরই আমরা এক অভিনব হামলা দেখতে পাই, যা এখন পেজার এটাক নামে সবার কাছে পরিচিত। গত ১৭ সেপ্টেম্বর লেবানন ও সিরিয়ায় একযোগে পেজার বিস্ফোরণ ঘটে। পেজার হচ্ছে নিজেদের নেটওয়ার্কের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার্থে এক ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস, যা অনেকটা ওয়াকিটকির মতো। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ তার যোদ্ধাদের সতর্ক করেন যে, ইসরায়েলের গোয়েন্দারা মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে। তার পরপরই হিজবুল্লাহ ৫ হাজার গোল্ড অ্যাপোলো কোম্পানির পেজার ক্রয় করে। হাঙ্গেরি থেকে সাপ্লাই হয়। এ নিয়ে এখন অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে; কিন্তু ইসরায়েলের কাছে এসব আগাম তথ্য না থাকার কোনো কারণ নেই।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিটি পেজারে ৩ গ্রাম করে পেন্ট পেনটিল (সংক্ষেপে) নামক বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেয় প্রায় ৫ মাস আগে। ১৮ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরিত হয় ওয়াকিটকি এবং কিছু ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই দুই দিনে ৪২ জন মারা যায় এবং সাড়ে তিন হাজার আহত হয়, যাদের ৮০ থেকে ৯০ ভাগই হিজবুল্লাহর সদস্য। আক্ষরিক অর্থেই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে হিজবুল্লাহ। এত যোদ্ধা আহত হওয়ার পর অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে তারা। ফলে চলছে ইসরায়েলের অবাধ হামলা।
লেবাননে হামলায় এ পর্যন্ত ৮ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং ইসরায়েলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পরিষ্কার যে হিজবুল্লাকে শেষ না করে তারা ক্ষান্ত হবে না। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করে ১২৪০ জনকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়ার পরদিন ৮ অক্টোবর থেকে হামাসের সঙ্গে যোগ দেয় হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের দিকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে শুরু করে। এতদিন ইসরায়েল লেবাননের দিকে পাল্টা কিছু হামলা চালালেও তা ছিল সীমিত। এবার শুরু করেছে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল, হিজবুল্লাহর ওপর অপারেশন শেষ হলে এরপর কি ইয়েমেনের হুতিদের ওপর, না কি সরাসরি ইরানের ওপর হামলা করবে ইসরায়েল? অথবা অচিরেই ইরান হামলা চালাবে ইসরায়েলে?
এদিকে হামাস ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যেও হুতিরা বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। এমনকি ইসরায়েলে একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে তারা। বিষয়টি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তাছাড়া লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বহু জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা। অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে যা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত এপ্রিলের ১ তারিখে সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের অন্যতম প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ ১৬ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল, যাদের প্রায় সবাই আল কুদস এর সদস্য ছিল। এর প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয় ইরান এবং ১৩ এপ্রিল ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও রকেট হামলা চালায় ইসরায়েলে দিকে। অবশ্য ইরান এই হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল তারা হামলা করতে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই মনে করেন, এই হামলা ছিল অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রশমিত করার বিষয়। যা হোক, এর জবাবে আবার একই মাসে ইরানের পরমাণু একটি সাইটে হঠাৎ করে হামলা চালায় ইসরায়েল।
এরপর গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি ইরানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে একটি সফরকালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। তিনটি হেলিকপ্টারের বহরের মধ্যে রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্গম পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলা হলেও তা যে দুর্ঘটনা নয়, তা এখনো অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন। এরপর গত ৩১ জুলাই ইরানের অতিথি হিসেবে গিয়ে হামাস নেতা ইসমায়েল হানিয়ে নিহত হন। কেউ বলেছে রেস্ট হাউসে বোমা পোঁতা ছিল, আবার কেউ বলেছে দূর থেকে প্রোজেক্টাইল ছুড়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে; কিন্তু যেভাবেই হত্যা করা হোক না কেন, ইরানসহ বিশ্বের বহু দেশ আঙুল তুলেছে ইসরায়েলের দিকে এবং সেটাই স্বাভাবিক। এমন একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে এক ধরনের যুদ্ধ কিন্তু চলছেই এবং এটা ওপেন যে হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতিদের অস্ত্র, গোলা বারুদসহ সব ধরনের সরবরাহ দিয়ে থাকে ইরান। অর্থাৎ এটি ইরানের একটি প্রক্সি ওয়ার; কিন্তু প্রশ্ন ওখানেই যে ইরান সরাসরি যুদ্ধে যাবে কি?
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের এই কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠনের যে যুদ্ধ, তার সঙ্গে ১৯৪৮, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩ সালের বড় মাত্রার আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মুখে দাঁড়িয়ে যে যুদ্ধ হয়েছিল তাতে আরব পক্ষে সরাসরি যোগ দিয়েছিল মিশর, ট্রান্সজর্দান, লেবানন, ইরাক, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং উত্তর ইয়েমেন (তখন উত্তর এবং দক্ষিণ ইয়েমেন নামে দুটি দেশ ছিল যা ১৯৯০ সালে একীভূত হয়)। এরপর আবার যখন বড় আকারে ১৯৬৭ সালে ৬ দিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তখন আরব পক্ষে একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করেছিল মিশর, সিরিয়া, জর্দান এবং লেবানন। অবশ্য অন্যান্য আরব দেশেরও সাহায্য সহযোগিতা ছিল।
এরপর ইতিহাসে ইয়ুম কাপুর যুদ্ধ বা রমজান মাসের যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত ১৯৭৩ সালে ইসরায়েল আরব যুদ্ধে মিশর এবং সিরিয়ার নেতৃত্বে যোগ দিয়েছিল পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার প্রায় সব কটি দেশ। এর প্রতিটি যুদ্ধেই ইসরায়েল একভাবে না একভাবে জয়ী হয়েছিল; কিন্তু ওই সব যুদ্ধে আজকে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান ছিল ইসরায়েলের প্রতি সহনশীল। তুরস্কের পর ইরানই প্রথম মুসলিম রাষ্ট্র যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের সময় ৩০ হাজার ইরানি বিক্ষোভ করেছিল রাজধানী তেহরানে; কিন্তু ইরান কোনো পক্ষ নেয়নি। বরং ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের বন্ধুই ছিল। ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক বাতিল করে এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে। এবং সেই থেকে ইসরায়েল ইরান সম্পর্ক দিনে দিনে আরো বেশি তীক্ত ও বৈরি হতে থাকে।
অন্যদিকে সৌদি আরব, জর্দান, মিশরের মতো বর্তমান যথেষ্ট শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধাচরণ তো করছেই না বরং ক্ষেত্রবিশেষ বন্ধুত্বের আচরণ করছে। যেমন ইরান ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলের দিকে, তার বেশ কয়েকটি জর্দান এবং সৌদি আরবের আকাশ থেকে প্রতিহত করা হয় তাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে। ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির আলোচনা চলছিল। এবং অনেকটা এগিয়েছিল। ইসরায়েল বিশ্বাস করে এই অগ্রগতি ঠেকাতেই হামাস ইরানের প্ররোচনায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে।
যাই হোক, হামাসের পর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ এই অসম যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ লেবাননি নিহত হয়েছে, ১০ লাখ লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে বিক্ষিপ্ত হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় দুজন ইসরায়েলি আহত হয়েছে। হিজবুল্লাহকে সম্পূর্ণ পরাস্থ করার পর ইসরায়েল সম্ভবত দম নেবে বলে অনেকে মনে করেছিল। অর্থাৎ ইরান বা ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাবে না; কিন্তু ইসরায়েল বুঝতে পেরেছে, পেজার এটাক, মুহুর্মুহু বিমান হামলা এবং হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহ দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই ২৯ সেপ্টেম্বর ত্বরিৎগতিতে হুতিদের বিশেষ বিশেষ ঘাটিতে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে এরপর আর বেশি দূর যাবে না বলেই অনেকে মনে করছে। যদি এরমধ্যে ইরান কোনো বড় ঘটনা না ঘটিয়ে বসে।
কয়েকটি কারণে ইসরায়েল হামলা সীমিত করতে পারে। হিজবুল্লাহকে পরাস্থ করা ইসরায়েলের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। লেবাননের হিজবুল্লাদের বারবার হামলার কারণে লেবানন সীমান্ত এলাকা থেকে ৬০ হাজার ইসরায়েলিকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। ইসরায়েল ওই অঞ্চলকে নিরাপদ করতে চায়। তাই লেবাননে হামলা ছিল তাদের জন্য অপরিহার্য। দ্বিতীয়ত, যুদ্ধে ইসরায়েল যতই বিজয়ী হোক, বেশ খানিকটা হাঁপিয়ে উঠেছে। তৃতীয়ত, ইয়েমেন এবং ইরান দুটি দেশই ইসরায়েল থেকে বেশ দূরে। বিশাল ইয়েমেনের হুতিদের ঘাঁটিগুলোতে উড়ে গিয়ে বারবার বা দিনের পর দিন হামলা চালানো অনেকটা ব্যয়সাপেক্ষ। তাই ইসরায়েলের ইচ্ছা আছে, হুতিদের শায়েস্তা করতে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের শক্তিকে ব্যবহার করা। আপাতত তারা কিছু সনির্দিষ্ট সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করতে চাইছে। যদি ইরান জড়িয়ে পড়ে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র যে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেবে সেকথা তারা ২৯ সেপ্টেম্বর হুতিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার পরপরই বিবৃতি দিয়ে বলেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম।
তবে এর ব্যত্যয় ঘটতে পারে। জাতিসংঘের ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেছেন, যদি তোমরা কোনো হামলা চালাও, তাহলে পাল্টা হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নেয়া হবে। অন্যদিকে ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননে হাসান নাসরুল্লাকে হত্যার পর ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, হাসান নাসরুল্লাহর হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য চাচ্ছে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানের পর পর ইসরায়েল যেন আর যুদ্ধ সম্প্রসারিত না করে। কারণ সেক্ষেত্রে গোটা মধ্যপ্রাচ্য ভীষণভাবে জ্বলে উঠতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সরকার পতনের ডাক আসতে পারে এবং যুদ্ধে হাত বাড়াতে পারে রাশিয়া, এমনকি চিনও। সেক্ষেত্রে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেও, যা বিশ্বব্যাপী এক নরককাণ্ডে পরিণত হবে।
মহসীন হাবিব: সিনিয়র সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে