মধ্য গাজায় বেড়েছে ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা, নিহত ২৬
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় কমপক্ষে আরও ২৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারের এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বোমাবর্ষণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ট্যাঙ্কগুলো শহরের উত্তর ও দক্ষিণে আরও গভীরে ঢুকে পড়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল এবং ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার এক দিন পর যখন গাজায়ও একই ধরনের চুক্তির আশা করা হচ্ছে, ঠিক এই সময়েই এমন ঘটনা ঘটল।
প্রায় ১৪ মাসের সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে বুধবার লেবাননে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় গাজার শাসক দল হামাসও যুদ্ধবিরতি চুক্তি চায় বলে ইঙ্গিত দেয়। তবে ইসরায়েল কিছু জানায়নি।
সার্বিক পরিস্থিতিতে দেখা যায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার প্রচেষ্টার সামান্য অগ্রগতি হয়েছে। আলোচনা এখন আটকে আছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোও আগ্রহ হারিয়েছে কিছুটা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং এর আরব মিত্ররা বলতো, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের অবসান ঘটবে। এখন তারা উল্টো আশা করছে। এর পেছনে যুক্তি হলো, লেবাননে যুদ্ধবিরতি দেখায় যে, সমঝোতা সম্ভব এবং হামাস এখন আরও বিচ্ছিন্ন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে হামাস। এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর পর ওইদিন থেকই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে গাজায় ৪৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং বহু আহত হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে