গাজার নিরাপত্তা অঞ্চলে সেনা রাখার ঘোষণা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
গাজার বিভিন্ন নিরাপত্তা অঞ্চলে সেনা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) তিনি জানান, যুদ্ধ শেষ হলেও এসব বাফার জোনে ইসরায়েলি সেনারা ‘যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতে’ দেশটির নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে।
কার্তজ বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে গাজায় নতুন করে অভিযান শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনের ‘দশ শতাংশ ভূখণ্ড’ ইসরায়েল দখলে নিয়েছে। এবার অতীতের মতো হবে না। যেসব এলাকা পরিষ্কার (যেসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়ানো হয়েছে) এবং দখল করা হয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সেসব এলাকা ছাড়ছে না। গাজার যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতে আইডিএফ শত্রু এবং ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের মধ্যে বাফার হিসেবে নিরাপত্তা অঞ্চলে থাকবে। লেবানন ও সিরিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। খবর বিবিসির।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের নীতি হলো সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সব জিম্মির মুক্তির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা এবং পরবর্তীতে হামাসকে পরাজিত করার জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা।’
তবে হামাস জোর দিয়ে বলেছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
বুধবার হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অবরোধ তুলে নেয়া এবং পুনর্গঠন শুরু করার প্রকৃত নিশ্চয়তা না থাকলে যেকোনো যুদ্ধবিরতি একটি রাজনৈতিক ফাঁদে পরিণত হবে।’
ইসরায়েলের ‘দ্য হোস্টেজ অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম’ কার্তজের এই পরিকল্পনাকে ‘উদ্ভুত কল্পনা’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তির মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। তারা মনে করে, “একটি চুক্তির মাধ্যমে সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়াই হচ্ছে একমাত্র কার্যকর সমাধান, প্রয়োজনে যুদ্ধ বন্ধের মাধ্যমে।”
ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে গাজায় এখনো ৫৯ জন জিম্মি আছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন বেঁচে আছেন।
এদিকে ইসরায়েলের রিজার্ভ ও সাবেক সেনারা সম্প্রতি খোলা চিঠিতে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেয়ে জিম্মিদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে