২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার (১৬ মার্চ) এই তথ্য জানায় মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলি হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে তাদের সৈন্যদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা বা বোমা পুঁতে রাখার চেষ্টাকারী "সন্ত্রাসীদের" হুমকি প্রতিহত করতে তারা হামলা চালিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ নিহতদের অধিকাংশ শনিবার মারা গেছেন। সেদিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়াতে ৯ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে চারজন সাংবাদিকও ছিলেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে হামাস ও এর মিত্র ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার ছয়জন সদস্য ছিলেন। তাদের দাবি, এদের মধ্যে কিছু জঙ্গি ‘সাংবাদিকের ছদ্মবেশে’ কাজ করছিলেন।
গাজায় হামাস পরিচালিত সরকারি মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ বলেন, এ ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে এমন কিছু ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা ঘটনাস্থলে উপস্থিতই ছিলেন না।
তিনি বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সঠিকভাবে তথ্য যাচাই না করে শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিবৃতি দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মেডিকেল সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোববার গাজার কেন্দ্রীয় শহর জুহর এলদীক এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ৬২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, রাফাহ এলাকায় একদল মানুষের ওপর ড্রোন হামলায় আরও কয়েকজন আহত হন।
এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা এসব ড্রোন হামলার ঘটনার ব্যাপারে অবগত নয়।
পরে একইদিনে গাজার জায়তুন এলাকায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ওই ব্যক্তি একটি বিস্ফোরক পুঁতে রাখার চেষ্টা করছিলেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে