রাফায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, আগুনে পুড়ে নিহত ৪৫
গাজার রাফাহ শহরের একটি শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল। এতে তাঁবুর ভেতরে থাকা ৪৫ জন আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাতে শিবিরটিতে তাঁবু স্থাপনের পর সেখানে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনার পর শিবিরে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের মরদেহ দাফনের জন্য হাসপাতালে ছুটে যান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ফিলিস্তিনি চিকিত্সকদের ভাষ্যমতে, বিমান হামলার পর শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু।
বার্তা সংস্থা সিএনএনের হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শরণার্থী ক্যাম্পটি আগুনে পুড়ে গেছে। সেই সময় ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল শিবিরের অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশুরা। হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ আগুনে পোড়া মরদেহগুলোকে টেনে বের করতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন, বিমান হামলাটি যখন রাফার তেল আল-সুলতান এলাকার আশেপাশে চালানো হয় তখন শিবিরে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলি ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দুই সপ্তাহ আগে রাফার পূর্বে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এখানে এসে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিচ্ছিল।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাফায় ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর কমান্ডারদের বিরুদ্ধে চালানো বিমান হামলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, বেসামরিক নাগরিক হতাহতের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়নি।
সংসদে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘রাফায় আমরা এরইমধ্যে প্রায় ১০ লাখ অযোদ্ধা বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছি এবং অযোদ্ধাদের ক্ষতি না করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু দুঃখজনক ঘটনা ভুলভাবে হয়ে গেছে।’
এমতাবস্থায় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে