যুদ্ধবিরতি কার্যকর রোববার, ৪৭ হাজার প্রাণের বিনিময়ে বন্ধ হচ্ছে গাজা যুদ্ধ
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদনের পর রোববার (১৯ জানুয়ারি) এটি কার্যকর করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
এই যুদ্ধবিরতি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজার সর্বকালের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ বন্ধ করবে। ইসরায়েলি কারাগার থেকে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আটক জিম্মিদের মুক্তিও দেবে।
শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ভোটের মাধ্যমে চুক্তিটি অনুমোদন করে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর নিয়ে অনিশ্চয়তা শেষ হয়েছে। সরকার জিম্মি প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সমস্ত রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক দিক পর্যবেক্ষণের পর এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে’ এটা বোঝার পর চুক্তিটি গ্রহণের পাশাপাশি সরকারকে প্রস্তাবিত রূপরেখা অনুমোদন করার’ সুপারিশও করেছে’।
‘সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে’ রোববার থেকে মুক্তি দিতে ৯৫ জন ফিলিস্তিনির তালিকা প্রকাশ করেছে বিচার মন্ত্রণালয়। তাদের ৬৯ জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১০ জন শিশু।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পরও গত দুদিনে গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১১৩ ফিলিস্তিনি। তাদের অন্তত ২৮ জন শিশু এবং ৩১ জন নারী।
এতে গত ১৫ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন। নতুন ১৮৯ জন আহতকে নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৬৪২ জনে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা জুড়ে প্রায় ৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় অভিষেকের প্রাক্কালে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যিনি বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিটি বাস্তবায়নের কৃতিত্ব দাবি করেছেন।
তবে ‘এটি আগে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এটি যুদ্ধের উদ্দেশ্য অর্জনে সমর্থন করে’- জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয় ।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজায় সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগেই বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীরা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে