গাজায় ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলি দুই সেনা কর্মকর্তা বরখাস্ত
চলতি সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাতজন ত্রাণকর্মী নিহত হন। এ ঘটনার তদন্তে গুরুতর ত্রুটি ও আক্রমণ পদ্ধতি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ায় দুই সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং আরও জ্যেষ্ঠ তিন সেনা কর্মকর্তাকে তিরস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
তারা বলছে, অভিযুক্তরা ভুলবশত অভিযান পরিচালনা করেছে এবং সেনাবাহিনীর চুক্তির নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তারা হলেন-কর্নেল পদমর্যাদার ব্রিগেড চিফ অব স্টাফ এবং মেজর পদমর্যাদার একজন ব্রিগেড ফায়ার সাপোর্ট কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গেছে যে, সেনা সদস্যরা ভুলবশত ‘হামাসের সশস্ত্র কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু’ মনে করে হামলা চালিয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে-একজন অস্ট্রেলিয়ান, তিনজন ব্রিটিশ, একজন উত্তর আমেরিকান, একজন ফিলিস্তিনি ও একজন পোল্যান্ড নাগরিক। হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে তারা ছুটাছুটি করে।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি গুরুতর ভুল, যার জন্য আমরা দায়ী এবং এটি হওয়া উচিত ছিল না। আমরা নিশ্চিত করব, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃাত্তি ঘটবে না।
এই হামলার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউসিকে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দাতব্য সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিন গোর বলেন, ‘গাজায় ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালা এলাকায় এ হামলাটি চালানো হয়। এ ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক ফোনালাপে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন নীতি পরিবর্তনের হুমকি দেন তিনি। তার পরই এ ঘটনার তদন্তে নামে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং শুক্রবার সেনা কর্মকর্তাদের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে