গাজায় জাতিসংঘের স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ২৭
মধ্য গাজায় জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসি।
স্থানীয় সাংবাদিকরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই স্কুলটি নুসেইরাত শরণার্থী শিবির হিসেবে পরিচিত। স্কুলটির ওপরের তলার শ্রেণিকক্ষে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত শ্রেণিকক্ষ ও মর্গে নিহতদের মরদেহ কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা আছে। উদ্ধারকারী দল আহত ও নিহতদের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা অপর এক ভিডিও ফুটেজে ইসরায়েলি হামলায় আহত এক নারী চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘যথেষ্ট যুদ্ধ হয়েছে! আমরা কয়েক বার বাস্তুচ্যুত হয়েছি। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের শিশুদের হত্যা করেছে।’
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, নুসেইরাত এলাকায় জাতিসংঘের ওই স্কুলের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হামাসের একটি কম্পাউন্ডকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।
তবে ইসরায়েলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন হামাসের মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘দখলদারিত্ব ব্যবহার করে ...কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত মানুষের বিরুদ্ধে পরিচালিত নৃশংস অপরাধকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য মিথ্যা বানোয়াট গল্প তৈরি করা হয়েছে।’
হামাসের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। এটি একটি ‘ভয়াবহ গণহত্যা’, যা মানবতাকে লজ্জা দেয়।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জবাবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বোমা হামলা ও স্থল হামলায় অন্তত ৩৬ হাজার ৫৮০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে