বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে পঞ্চাশের দশকেই যা ভেবেছিলেন জীবনানন্দ
জীবদ্দশায় মূলত কবি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া জীবনানন্দ দাশ যে একজন উপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, গ্রন্থ সমালোচক এবং অনুবাদকও বটে, সেই পরিচয়গুলো উন্মোচিত হয় তার মৃত্যুর পরে। এ পর্যন্ত তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে যেসব গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জীবনানন্দ দাশ তার জীবদ্দশায় মাত্র ৩৭২টি কবিতা মুদ্রিত আকারে দেখে যেতে পারলেও তার আবিষ্কৃত কবিতার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। শুধু তা-ই নয়, এখন পর্যন্ত তার ১৯টি উপন্যাস, ১২৭টি গল্প, ৭৯টি প্রবন্ধ-নিবন্ধ-আলোচনা-ব্যক্তিগত রচনা, ৫৬টি খাতাভর্তি ৪ হাজার পৃষ্ঠার ডায়েরি, দেড়শোর মতো চিঠিপত্র এবং চিঠির খসড়া পাওয়া গেছে। (গৌতম মিত্র, পাণ্ডুলিপি থেকে ডায়েরি প্রথম খণ্ড, ঋত প্রকাশন/২০১৯, পৃ. ২০)।
জীবনানন্দের ৫৫ বছরের (১৮৯৯-১৯৫৪) জীবনে ২০ বছরের কর্মজীবনে অধিকাংশ সময় কেটেছে শিক্ষকতায়। তবে বরিশালের পাট চুকিয়ে কলকাতায় স্থায়ী হওয়ার পরে কিছুদিন কাজ করেছিলেন স্বরাজ নামে একটি পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে। ওই সময়ে এবং এর আগে-পরে কাজের প্রয়োজনে তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন। বিশেষ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। সাতচল্লিশে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাওয়ার পরে জীবিকার অনিশ্চয়তার মুখে জীবনানন্দ দাশ এবং জীবনের অনিশ্চয়তার মুখে তার পুরো পরিবার বরিশাল ছেড়ে কলকাতায় চলে যাওয়ার পরের বছর থেকেই, অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (আজকের বাংলাদেশ) রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে—যার চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে। জন্মস্থান পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্তান যখন ভাষার দাবিতে উত্তাল, সেই সময়ে কলকাতানিবাসী জীবনানন্দ দাশ লিখলেন ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ’।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত তার যেসব প্রবন্ধের সন্ধান পাওয়া যায়, তার মধ্যে শিক্ষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা দীক্ষা, শিক্ষা-দীক্ষা-শিক্ষকতা, শিক্ষার কথা, শিক্ষা সাহিত্য ইংরেজি, লেখার কথা, রবীন্দ্রনাথ (এক), রবীন্দ্রনাথ (দুই), কবিতা পাঠ: নজরুল ইসলাম, কেন লিখি, উত্তররৈবিক বাংলা কবিতা ইত্যাদি। এর বাইরে ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তার কয়েকটি ইংরেজি প্রবন্ধেরও সন্ধান পাওয়া যায়।
তার ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ’ শিরোনামের প্রবন্ধে আমরা দেখব বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে পঞ্চাশের দশকেই জীবনানন্দ দাশ যে কথা লিখেছেন, আজ সেটি বাস্তব সত্য। একজন লেখক কতটা দূরদর্শী হলে পঞ্চাশ বা একশ বছর পরে তার দেশ ও জাতির অবস্থাটি দেখতে পারেন, জীবনানন্দ দাশ তার বড় উদাহরণ। যেমন তিনি তার একটি কবিতায় লিখেছেন: ‘মানুষের হাতে আজ মানুষ হতেছে নাজেহাল, পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।’ জীবনানন্দ দাশ সারা জীবন একটি বিশুদ্ধ চাকরির জন্য ঘুরেছেন। কিন্তু তার ভাষায় ‘বিশুদ্ধ চাকরি’ পাননি। পেটের তাগিদে শিক্ষকতা করতে হলেও তিনি যে এই কাজে আনন্দ পেতেন না বা যেভাবে ও যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, সেটি যে তিনি পছন্দ করছিলেন না, তা সুহৃদদের কাছে লেখা তার একাধিক চিঠিতে স্পষ্ট। প্রশ্ন হলো, ‘বিশুদ্ধ চাকরি’র বাস্তবতা কি এই তথ্যপ্রযুক্তি তথা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে এসে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়নি? আমরা কি চারদিকে মানুষের ভেতরে একটি ‘বিশুদ্ধ চাকরি’র জন্য হাহাকার দেখি না? বিশেষ করে সৃষ্টিশীল মানুষরা কি সারা জীবন একটি মনের মতো কাজ তথা বিশুদ্ধ চাকরির জন্য চেষ্টা করেন না? অতএব, আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে জীবনানন্দ যা লিখেছিলেন, আজকের বাংলাদেশে, আজকের পৃথিবীতে এখনো সেটি প্রাসঙ্গিক।
জীবনানন্দ দাশ আরেকটি কবিতায় লিখেছেন: ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সব চেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা।’ কবিতা পত্রিকার পৌষ ১৩৬১ সংখ্যায় প্রকাশিত এই কবিতাটি কি এখনো প্রাসঙ্গিক নয়? আমাদের চারপাশে এখনো কি অন্ধরাই সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে না? যাদের যা করবার কথা নয় তারাই কি সেটি করছেন না? যাদের যা বলবার কথা নয় তারাই সেটি বলছেন না? যাদের যেখানে বসবার কথা নয় তারাই কি সেখানে বসে নেই, চেয়ার দখল করে নেই?
জীবনানন্দের কবিতার মতোই তার প্রবন্ধের ভাষা। কবিতার মতোই শক্তিশালী তার গদ্য, যার বড় উদাহরণ ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভবিষ্যৎ’। প্রবন্ধটি জীবনানন্দ দাশ সম্ভবত পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিকে অর্থাৎ ১৯৫০-৫১ সালে লিখেছেন—যখন পূর্ব পাকিস্তানে ভাষার দাবিতে আন্দোলন চলছে। প্রবন্ধটি যে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির আগে লেখা, সে বিষয়ে সন্দেহ কম। কেননা প্রবন্ধের এক জায়গায় তিনি লিখেছেন: ‘পূর্ব পাকিস্তান তার দেশজ ভাষা ও সাহিত্য ছেড়ে দিয়ে উর্দু গ্রহণ করা সহজ ও স্বাভাবিক মনে করতে পারবে কি না কিংবা উর্দুর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাকেও পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে লাভ করতে চাইবে ও পারবে কি না-পূর্ব পাকিস্তানে ভাষা নিয়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। মীমাংসা এখনো কিছু হয়নি। কোন পথে হবে বলা কঠিন। কাগজে যেসব খবর পাওয়া যায়, তা কতদূর সঠিক ও সম্পূর্ণ বলতে পারছি না; সংবাদ পড়ে মনে হয় খুব সম্ভব বেশিসংখ্যক পাকিস্তানিই বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্থিত দেখতে চান। তাদের ইচ্ছা ও চেষ্টা সফল হলে পশ্চিম বাংলার ভাষা ও সাহিত্যের পক্ষেও খুব বড় লাভ।’ অর্থাৎ ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পরে প্রবন্ধটি লিখিত হলে এই প্রবন্ধে সেই রক্তঝরা ইতিহাসের প্রসঙ্গ থাকত। এই প্রবন্ধে জীবনানন্দ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পূর্ব পাকিস্তানে যদি ভাষার দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলন সফল হয় এবং বাংলাই সেখানের রাষ্ট্রভাষা হয়, তাহলে পশ্চিমবাংলার ভাষা ও সাহিত্যের জন্যও সেটি লাভজনক।
জীবনানন্দ দাশ এই প্রবন্ধে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব লোকই বরাবর বাংলা ব্যবহার করে আসছে। শিক্ষিতরা ইংরেজি জানেন; কিন্তু ইংরেজি যত মহৎই হোক, বিদেশি ভাষা। তিনি মনে করেন, রাষ্ট্রের ভাষা দেশি হওয়া দরকার। বাংলা পূর্ব পাকিস্তানের দেশজ ভাষা; এ ভাষার এ স্বরূপ মুখে ও সাহিত্যে পূর্ব বাংলা এতদিন বসে গড়ে তুলেছে, তা বিশেষভাবে সেখানকার মুসলিমদের মুখে ও মননে গড়া জিনিস; সমস্ত বাংলাদেশ সেসব উপভাষা ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে।
অনেক সময় মনে করা হয় যে, অনেক বেশি মানুষ কোনো একটি ভাষায় কথা বললে সেই ভাষায় ভালো সাহিত্য তৈরি হয়; কিন্তু এই ধারণার বিপরীতে গিয়ে জীবনানন্দ লিখছেন: ‘জায়গা ছোট হলেও তার ভাষা ও সাহিত্য যে মুষড়ে যাবে এমন কোনো কথা নেই। ছোট দেশে বড় সাহিত্য ফলতে পারে। ইতিহাসে নানারকম সাহিত্য ও ভাষা ছোট দেশে সক্রিয় হয়ে উঠে পৃথিবীর বড় বড় অংশের কাছ থেকে প্রায় ভূমার মর্যাদা পেয়ে গেছে। ইংল্যান্ড-এমনকি গ্রেটব্রিটেন বড় দেশ নয়। চসারের সময় থেকে আজ পর্যন্ত ইংরেজি সাহিত্য ওই ছোট দ্বীপে শ্রেষ্ঠ হয়ে পৃথিবীজুড়ে স্থিতি ও শ্রদ্ধা পেয়ে আসছে। এথেন্স ছোট নগর ছিল, গ্রিস ছোট জায়গা, কিন্তু গ্রিক ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইউরোপ ও বাইরেও অনেক দিন পর্যন্ত মানুষের প্রায় একমাত্র শাশ্বত ভাষা, সাহিত্য ও বলে গ্রাহ্য হয়ে এসেছে; বাংলা ছোট দেশ বা ভিড়ে কম বলে বাংলা সাহিত্য ও ভাষা, ওপরের সব নজিরের প্রামাণ্য স্বীকার করলে (অস্বীকার করবার কিছু নেই), ক্রমে ক্রমে যে ক্ষয় পেয়ে নষ্ট হয়ে যাবে, সেরকম আশঙ্কা করবার কোনো কারণ আছে মনে হয় না।’
বাংলা যেরকম ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রভাষার স্থান তার প্রাপ্য—এই কথা জীবনানন্দ দাশ ঘোষণা করছেন পঞ্চাশের দশকের শুরুতেই। লিখেছেন: ‘বাংলা পূর্ববাংলার লোকদের অনেক শত বৎসরের সাহিত্য ও সমাজ-সংসারের ভাষা। পূর্ব বাংলার মুসলিমরা কয়েকশ বছর ধরে ওদিককার নানা উপভাষায় লিখে ও বলে যে বিশেষ সার্থকতা দেখিয়েছেন ভাষার সে সুস্থ অপর্যাপ্ত প্রকাশ যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তার এখনকার আপাতসুস্থতা এদিককার বাংলা (সাধু ও চলিত) কতদিন টিকিয়ে রাখতে পারবে ভাবনার বিষয়।’
এই প্রবন্ধে বাংলা ভাষার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জীবনানন্দ দাশ বাংলা এই ভাষায় সাহিত্যচর্চা করে জীবিকা অর্জন যে প্রায় অসম্ভব—সই রুঢ় সত্যটিও উচ্চারণ করেন। তার ভাষায়: ‘কিছু ঔপন্যাসিকদের বাদ দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যিকরা শুধু নানা সময় পত্রে গদ্য বা কবিতা ছাপিয়ে বা বই লিখে প্রায় কোনো সময়ই ভাত-কাপড়ের জোগাড় করতে পারেননি। নিজেদের জায়গা-জমি বা গচ্ছিত টাকা না থাকলে (খুব কম লেখকেরই আছে) তাদের সবাইকে প্রায় চাকরি ব্যবসা ইত্যাদি করতে হয়েছে, এখনো করতে হচ্ছে।’ কিন্তু চাকরি পাওয়াও কি সহজ? জীবনানন্দ ওই সময়েই লিখেছেন: ‘চাকরি পাওয়া আগের চেয়ে ঢের কঠিন এখন, লেখকদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা আগের চেয়ে বেশি; আরও বেড়ে যাচ্ছে মনে হয়। লিখেও-এমন কী প্রাণপণ লিখেও কবিতায়, সমালোচনায় টাকা নেই একরকম। গল্পে উপন্যাসেও আগের চেয়ে কম।’ তাহলে কি সাহিত্য হবে না? জীবনানন্দ বলছেন: ‘যে লেখকদের বেশি টাকা ও অবসর আছে (বিশেষ কারও আছে বলে জানি না) রুচি ও শক্তি থাকলে তারাই সাহিত্যকর্মে স্থির লক্ষ্যের পরিচয় দিতে পারবেন। অন্যদের চাকরি-বাকরি না জুটলে, পরের ওপর নির্ভর (যেটা সব দিক দিয়েই অপ্রিয় ও অসম্ভব) করে অসুস্থ ও অনিশ্চিত মনে মাঝে মাঝে লেখার কাজে হাত দেওয়া চলতে পারে। আর্থিক দুরবস্থার জন্যেই লেখায় হাত দেওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠবে মনে হচ্ছে।’
এরকম বাস্তবতায় ইংরেজির অধ্যাপক জীবনানন্দ দাশ—যিনি মূলত লেখালেখি করেই জীবিকা অর্জন করতে চেয়েছিলেন, এই প্রবন্ধে তিনি নিজ ভাষার ভবিষ্যৎ বিপদে কথা স্মরণ করিয়ে বলছেন: ‘শুধু রাষ্ট্র ও সমাজ চালাবার—টাকা-পয়সা বেটে দেবার দোষ-দুর্বলতার জন্যেই নয়, অন্য নানা কারণেও প্রায় একশ-সোয়াশো বছর পরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সবচেয়ে বিপদের সময় এসে পড়েছে এবার।’ তবে তিনি আশার বাণীও শোনাচ্ছেন: ‘যে বিশেষ সাহিত্যিকদের আগামী পঁচিশ-ত্রিশ বছর নিয়ে কাজ, তারা সংখ্যায় (যেরকম আশঙ্কা করা যাচ্ছে) খুব কম হয়ে পড়লেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে যথাসম্ভব তার বড় ধারাবাহিকতায় বাঁচিয়ে রাখবার মতো প্রাণ ও মনের বিশেষ শক্তি দেখাতে পারলে (দেখাতে পারা যাবে কি?) ভবিষ্যৎ যতটা খারাপ মনে হচ্ছে, তা না-ও হতে পারে।’এখানে তার আশাবাদের পাশাপাশি সংশয়ও স্পষ্ট। যে সংশয় এই ২০২৪ সালে এসেও প্রাসঙ্গিক। কেননা সহজীকরণের নামে বাংলা একাডেমি, গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাষার যে ব্যবহার এবং কদাচিৎ ‘স্বেচ্ছাচার’ লক্ষ্যণীয়, তাতে আজ থেকে ৭০-৭২ বছর আগে ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে জীবনানন্দ যে সংশয় ও আশাবাদের কথা বলেছেন, এই সময়ে এসে তাতে কতটা পরিবর্তন হলো, সেই প্রশ্ন তোলা থাকল।
লেখক: সাংবাদিক ও জীবনানন্দ গবেষক।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে