জো বাইডেনের নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ এবং ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর
জো বাইডেনের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী নির্বাচনে ভরাডুবি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ। গত চার দশকের মধ্যে আর কোনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় থাকার সময় বাইডেনের মতো এতটা অজনপ্রিয় হতে দেখা যায়নি। জো বাইডেনের আগে যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, সেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে ছিলেন; কিন্তু দৃশ্যত ট্রাম্পের চেয়েও বেশি অজনপ্রিয় হয়েছেন বাইডেন। সারা বিশ্বে তো বটেই, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছেই বাইডেন ব্যাপক অর্থে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন, দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়াই তার প্রমাণ।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে একজন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা হারানো অতটা সহজ নয়। কারণ শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ, নাগরিক অধিকার সুরক্ষার দেশ হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্ব স্থানীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এমন একটি দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠার কারণ খুঁজতে হলে গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতির গভীরতা বুঝতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের কারণ মূলত গাজা উপত্যকায় গণহত্যায় ইসরায়েলের বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে বাইডেন প্রশাসনের জোরালো সমর্থন। যদিও গত দুমাসে নেতানিয়াহু প্রশাসনের প্রতি বাইডেনের সমর্থনের কণ্ঠ বেশ দুর্বল হয়ে গেছে। এমনকি নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করে হুমকি পর্যন্ত দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। মানুষ এখন অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। এ কারণে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর জো বাইডেনের তেল আবিব সফর এবং সেখানে দেওয়া বক্তব্য মানুষ ভুলে যায়নি।
বাইডেনের পরিবর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেও ইসরায়েলে হামাসের হামলার ঘটনার নিন্দা করতেন, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেল আবিবকে পূর্ণ সমর্থনও দিতেন নিশ্চিত; কিন্তু বাইডেন যেমন তেল আবিব সফরে গিয়ে নিজেকে ‘জায়ন্স্টি’ ঘোষণা দিয়েছেন, সেই ঘোষণা সম্ভবত আর কেউ দিতেন না। যে কোনো উগ্র ধর্মীয় মতবাদের প্রতি এর আগে কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টকে এভাবে নির্লজ্জ সমর্থন দিতে দেখা যায়নি। কট্টর ইহুদিবাদের প্রতি বাইডেনের সমর্থনের হঠকারিতা উগ্রবাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জিরো টলারেন্স নীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ঐতিহ্যকে ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
জো বাইডেনের সমর্থকরা বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব না দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের সচেতন নাগরিকরা বাইডেনের উগ্রবাদ সমর্থন নীতিতে ক্ষুব্ধ এবং মর্মাহত হয়েছেন।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ্যতার বিচারেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন বাইডেন। ফলে বাইডেন যখন প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন, তখন তার সেই বক্তব্য কেউই গ্রহণ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে এর বড় প্রতিফলনও দেখা যেতে পারে। প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের পপুলার ভোটে পরাজয়ের একটা বড় রেকর্ড স্থাপনের আশঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে।
বাইডেন প্রথম ভুলটা ইউক্রেন সংকট থেকেই শুরু করেছিলেন। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের টানাপোড়েনকে যুদ্ধ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে বাইডেন-প্রশাসনই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ না ঠেকিয়ে বরং রাশিয়ার পুতিন-সরকারকে ইউক্রেনে হামলার উসকানি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। আবার রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর ইউক্রেনকে রক্ষায় বাইডেন প্রশাসনের তৎপরতাও প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ফলে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেন ধ্বংসের মুখে পড়লেও এর দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষত বাইডেন-প্রশাসনের কাঁধেই পড়েছে। এ বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। ইউক্রেন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাইডেনকে যথেষ্ট বিতর্কিত করেছে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার অতি রক্ষণশীল কূটনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সেই নেতৃত্ব চীন-রাশিয়ার সামনে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো জাতিসংঘের সংস্থাগুলোতে চীনের কর্তৃত্ব দৃঢ় হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ট্রাম্পের অতি রক্ষণশীল অভিবাসন নীতিও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভেতরে বিভাজনের আশঙ্কা প্রকট করে তোলে। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে বছরজুড়ে প্রচারণায় ট্রাম্পের অতি রক্ষণশীল কূটনীতি ও অভিবাসন নীতির বিরোধিতাকেই বড় অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন জো বাইডেন সমর্থকরা। প্রত্যাশা ছিল, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিশ্বব্যবস্থায় আবারও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ কর্তৃত্ব ফিরে আসবে।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং জো বাইডেনের অরাজক কূটনীতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি দুর্বল করেছে। ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার চ্যালেঞ্জের সামনে, দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরাজিত হয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গত অক্টোবর থেকে বাইডেন প্রশাসনের যে নীতি তা খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক এমনকি ডেমোক্র্যাট দলের অনেকেরই সমর্থন পায়নি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব আরও দুর্বল হয়েছে। যেসব অঞ্চলে আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকট কিংবা প্রচ্ছন্ন কর্তৃত্ব ছিল তাও খর্ব হয়েছে। যেমন এর আগে যতবার মধ্যপ্রাচ্যের কোনো অংশে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে চেয়েছে, ততবার মিত্র দেশগুলোর প্রত্যক্ষ সমর্থন পেয়েছে; কিন্তু অতি সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল টানাপোড়েন শুরু হলে ইরানকে মোকাবিলার নীতি বাস্তবায়নে বাইডেন-প্রশাসন অধিকাংশ মিত্র দেশেরই সমর্থন পায়নি। এটা বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান দুর্বল হওয়ার ব্ষিয়টিকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।
একটি কথা মানতেই হবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সামনে একটি ‘মডেল রাষ্ট্র’ হতে পেরেছিল এর অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা, মানবাধিকার রক্ষা ও মত প্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এবং ধরনিরপেক্ষতার কারণে। অন্যদিকে রাশিয়া কিংবা চীন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলেও ‘মডেল রাষ্ট্র’ হতে পারেনি দেশ দুটির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ না থাকার কারণে; কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন- এ দুজন প্রেসিডেন্টের আমলে যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারের প্রতি মূল্যবোধ এবং উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ব্যত্যয় ঘটেছে বার বার। অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে পুলিশের পক্ষপাতমূলক বল প্রয়োগের ঘটনা বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। এ কারণে ‘মডেল রাষ্ট্র’ হিসেবেও বিশ্বের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো অবস্থান যথেষ্ট দুর্বল হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টরা কিছুটা রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করলেও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের প্রগতিশীল নীতির সুনাম ছিল; কিন্তু জো বাইডেন প্রথম ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট, যিনি রিপাবলিকানদের চেয়েও বেশি রক্ষণশীল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নীতিতে প্রশাসন পরিচালনা করেছেন, যেটাকে ‘অরাজকতার নীতি’ও বলা যেতে পারে। সেই বাইডেন প্রশাসনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু গত ১৪ মে ঢাকা সফরে এসেছিলেন। এটা তার প্রথম ঢাকা সফর নয়। এর আগেও তিনি ঢাকায় এসেছেন। তবে এবার তার সফরের প্রেক্ষাপট আগের চেয়ে আলাদা। গত বছর তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে এসেছিলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচনেরে আগে এসেছেন। ফলে দুটি সফরের মধ্যে গুণগত পার্থক্য আছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। ফলে ধরে নেয়া যায়, ডোনাল্ড লু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা নিয়ে এসেছিলেন এবং সেটা যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনের আগে বাইডেনের প্রতি ঢাকাকে সন্তুষ্ট রাখার বার্তা। একই বার্তা নিয়ে ডোনাল্ড লু এ সফরে ভারত এবং শ্রীলঙ্কাতেও গেছেন। এর বড় কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম অভিবাসী জনগোষ্ঠীর দেশ এবং অভিবাসী নাগরিকরা সে দেশের নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে পলিটিক্যাল আন্ডার সেক্রেটারিকে নিয়মিত রিপোর্ট করেন, অঞ্চলভিত্তিক এমন সাতজন অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি আছেন। ডোনাল্ড লুর মতো অন্য অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারিরাও এখন নিজেদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলের দেশগুলোতে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিবেচনায় বর্তমান অবস্থাটা এমন যে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীরা নিজেদের দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এবং বাইডেন-প্রশাসনের অবস্থানকে বিবেচনা করছেন না। দৃশ্যত, অভিবাসীরা একবাক্যেই বাইডেনবিরোধী অবস্থানে চলে গেছেন। এর অর্থ এই নয় যে, তারা ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। বরং এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীরা একটা অস্বস্তির মধ্যে আছেন। গত নির্বাচনে তারা রক্ষণশীল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনকে বেছে নিয়েছিলেন। গত চার বছরে বাইডেনের চরিত্র স্পষ্ট হওয়ার পর এবার বাইডেন আর ট্রাম্পের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাংলাদেশের মতো দেশের অভিবাসীদের জন্য বেশ কঠিন। অভিবাসীদের এই সিদ্ধান্তহীন অবস্থার সুযোগ নিতে সবচেয়ে বেশি মরিয়া থাকবে ক্ষমতাসীন বাইডেনের সমর্থকরাই। ফলে আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে আরও এক-দুদফা ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে এলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না!
তবে এটাও ভেবে নেয়ার কারণ নেই, নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ ঘিরে জো বাইডেন প্রশাসনের এর আগে নেয়া সিদ্ধান্ত বদলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থার শক্তিটাই এখানে। রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়ায় গৃহীত একটি সরকারি সিদ্ধান্ত সে দেশের প্রেসিডেন্ট চট করে বদলাতে পারে না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়েও কোনো প্রস্তাব গ্রহণ কিংবা বাতিল করাতে পারে না, যদি সিনেটে যথেষ্ট সমর্থন না পায়। ট্রাম্প-বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নীতিতে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের ঐতিহ্যকে অনেকটা ম্লান করেছেন; কিন্তু এটাও সত্যি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক দৃঢ়তা এখনো সেখানে অটুট রয়েছে। ফলে ডোনাল্ড লু পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার সফর ঘিরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মধুরতা কিংবা তিক্ততার জোয়ার-ভাটা খোঁজার কূটনৈতিক বিশ্লেষণ থেকে আপাতত দৃষ্টি সরিয়ে আগামী নির্বাচন ঘিরে বাইডেন প্রশাসনের রাজনৈতিক অবস্থান পর্যবেক্ষণে রাখাটাই এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ।
রাশেদ মেহেদী: সাংবাদিক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে