Opposition JP strongly opposes the bill terming it oppressive
সংসদে ‘দ্রুত বিচার আইন’ স্থায়ী করে বিল পাশ
মাত্র ২৪ মিনিটের মধ্যে জাতীয় সংসদে পাশ হলো ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০২৪। তবে বিলটি পাশের আগে এ আইনটি স্থায়ীকরণের বিরোধীকতা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নুসহ মাসুদউদ্দিন চৌধুরী এবং হাফিজ উদ্দিন আহেম্মদ। পরে তাদের আপত্তি কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে এ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিলের ওপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব এবং সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দলের এই সংসদ সদস্য।
বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক বলেন, ‘২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার যখন আইনটি করেছিল তখন তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বলেছিল এটি নিপীড়নমূলক ও কালো আইন। এই আইনটা রাজনৈতিক কারণ বা সরকার চাইলে যে কোনো কারণে নাগরিককে হয়রানি করতে পারে। সে আইনটা আপনারা রেখেছেন। আমি জানি না কেন রেখেছেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ যদি প্রয়োজন পড়ে এক/দুই বছর আইনের মেয়াদ বাড়ান। কিন্তু দ্রুত বিচার আইনটা স্থায়ী করবেন না, করলে ভবিষ্যতে একদিন আপনাদের এমন অবস্থা হবে, সেদিন আপসোস করবেন।
জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আইনটি প্রথম পাস হয় বিএনপির সময়। ওই সময় আমরা ও আজকের সরকার আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেছিল। তারপরও আইনটি পাশ হয়েছিল। আজকেও পাশ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো, যার জন্য গর্ত খুঁড়বেন, নিজেকেই সেই গর্তে পড়তে হয়। আজকে বিএনপি সেই গর্তে পড়েছে। দিন এক রকম থাকবে না।’
বিলের উদ্দেশ্য সংবলিত বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির জন্য এই আইনটি মেয়াদান্তে পুনঃ পুনঃ সময় বৃদ্ধি না করে স্থায়ীভাবে আইনে পরিণত করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে এবং বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সার্বিক আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে প্রথম এই আইনটি দুই বছরের জন্য করা হয়েছিল । এরপর ৭ দফায় আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আইনটি সংশোধন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৯ এপ্রিল এই আইনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে আইনটির মেয়াদ না বাড়িয়ে তা স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে