কেএনএফ: অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
বান্দরবানে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ি সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। অপহৃত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনের পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নেজাম উদ্দিনের পরিবারের এক সদস্য জানান, নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাইছূরা ইসফাতের বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে।
পরিবার বিষয়টি নেজাম উদ্দিনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের (সোনালী ব্যাংক) জানিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেজামকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (বান্দরবান) মো. ওসমান বলেন, “আমাদের সহকর্মী নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন খুবই তৎপর। সোনালী ব্যাংক বান্দরবানের সব শাখায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি—এই তিনটি শাখার লেনদেন স্থগিত রাখা হয়েছে।”
তবে মুক্তিপণ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি এই কর্মকর্তা।
রুমা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার(ভূমি) দিদারুল আলম বলেন বলেন, “অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগের বিষয়টি আমরা শুনেছি। যেকোনো মূল্যে তাকে উদ্ধারে প্রশাসন জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে রুমা এলাকার সব ব্যাংকে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রুমা সদরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।”
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন ভবনে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ সময় সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করে ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে বলে জানান রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, তারা এই সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আানসার ভিডিপির দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি ও আনসারের চারটি শর্টগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে