বাংলাদেশ-আদানি টানাপড়েন থেকে যে শিক্ষা পাওয়া গেল
সম্প্রতি এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অস্বীকার করছে’ এরকম আমি কিছু শুনেছি কি না। প্রশ্ন শুনেই আমি বুঝে গেলাম, একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে তিনি আসলে কোন প্রশ্নের বিষয়টি জানাতে চাচ্ছেন। আমি উল্টা প্রশ্ন করে বসলাম, ‘আপনার মনে আছে নিশ্চয়ই যে, মাত্র কয়েক বছর আগেই আমাদের বিদ্যুৎ ছিল না। কারণ, আমরা জ্বালানি এবং কয়লা আমদানির অর্থ দিতে পারিনি?’
বিদ্যুতের অর্থ না দেয়া বনাম কয়লার অর্থ না দেয়া
বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি কেনার বদলে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ডেডিকেটেড বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের ১০ শতাংশ কিনছে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতায় বিদ্যুৎ সরবরাহে অর্থ প্রদানের চুক্তিবদ্ধ বাধ্যবাধকতাগুলো যথাসময়ে পূরণ করেনি। এই বকেয়ার পরিমাণ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে। আবার ডলারের অভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনীয় কয়লা কিনতে পারছে না। ফলে তারা চাহিদামতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। কোনো দেশেই আত্মমর্যাদাশীল সরকার এই বিদ্যুৎহীনতার বিষয়ে দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। এখন এই অবস্থায় ডলারের অভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্ল্যান্টের জন্য জ্বালানি কেনা বন্ধ হোক বা বেসরকারি সরবরাহকারীর কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনা থেমে যাক, এই বিদ্যুৎহীনতার প্রভাব সরাসরি গিয়ে পড়ে ভোক্তাদের ওপরে। আসলে সমস্যা এবং প্রভাব যেটাই হোক, এই অবস্থার কারণ একটাই: ডলারের অভাব।
আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের এই বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি ‘অসম’ বলে অনেকেই মনে করেন। বিনিয়োগ এবং অর্থ প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে এখানে যে পরিমাণ আর্থিক সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাতে এসব লেনদেনের জটিল প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আদানি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে চুক্তির বিশদ বিবরণ সম্পর্কে মন্তব্য করার মতো যথেষ্ট তথ্য আমার কাছে নেই। উদাহরণস্বরূপ এটুকু বলতে পারি, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রাখলে চুক্তি অনুসারে তাদের একটা পরিমাণ ভর্তুকি বা ক্যাপাসিটি চার্জ সরকারকে দিতে হয়- এই চুক্তির ক্ষেত্রে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই আমার; কিন্তু এই ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণটি (প্রতি বছর ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) যুক্তিসঙ্গত কি না, তা বলার জন্য আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। যখন একটি চুক্তির শর্তাদি পূরণে একটি বড় বিনিয়োগ (১.৭ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার) করা হয়, তখন বিনিয়োগকারীর অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং ক্যাপাসিটি চার্জের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়, এটিই স্বাভাবিক। এখন এই শর্তাবলি যুক্তিসঙ্গত কি না তা নিশ্চিতের দায়িত্ব বিপিডিবি কর্মকর্তাদের ওপরই বর্তায়।
বলা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার আদানি মালিকানাধীন একটি খনি থেকে কয়লা সমৃদ্ধ রাজ্য ঝাড়খন্ডে কয়লা আনা হয়। ফলে এই অত্যধিক খরচ ধরা হয়েছে। এ অবস্থায় আসলে বিপিডিবির সামনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প যে পথগুলো আছে, সেটা বিচার করেই খরচের অঙ্ক কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা বোঝা যাবে।
‘বাংলাদেশে কয়লাচালিত প্ল্যান্টগুলো ৫০ শতাংশ ক্ষমতায় চলছে এবং ডলার সংকটে পর্যাপ্ত কয়লা আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণেই আদানির প্ল্যান্টে উৎপাদিত বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় উৎপাদকদের তুলনায় সামান্য বেশি ব্যয়বহুল হলেও এখন এই সরবরাহ ঠিক রাখা জরুরি,’ বার্তা সংস্থা বিবিসির বরাতে জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন এমনটাই বলেছেন।
স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি
স্বল্পমেয়াদি ক্ষেত্রে যে কোনো কিছু বাছাইয়ে সীমাবদ্ধতা আছে। হাতে যে সীমিত ডলার আছে, তা দিয়ে বিপিডিবি কি আদানিকে বকেয়া ঋণ পরিশোধ করবে নাকি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্ল্যান্টের কয়লা কিনবে? আমরা ২০২২ সালে যেটা দেখেছি, কেবল অর্থ দিলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে না। প্রতিযোগিতামূলক দর চাওয়া এবং সেটিকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করাও আবশ্যক। আবার আমদানি করতে এবং সেসব ঠিকঠাক মতো বুঝে পাওয়াটাও সময় সাপেক্ষ। জ্বালানি আমদানিকারী কোনো দেশই স্বনির্ভর নয়।
কারণ, আধুনিক সমাজ বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না। তাই, বিদ্যুৎ না থাকার চেয়ে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ চলমান রাখাটা যে কোনো বিচারেই সাশ্রয়ী। এ রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কীভাবে একটি দেশের সরকার বিদেশি কোম্পানি বা অন্য দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে দেয়?
দৃশ্যমান ক্ষেত্রে এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর: জ্বালানি শক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠা। শ্রীলঙ্কার যথেষ্ট বায়ু এবং সৌরশক্তি রয়েছে, যা তার সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেও আরও কাজে আসে। বাংলাদেশের কাছেও এই বিকল্প রয়েছে, যদিও এর বর্তমান পুনর্বীকরণযোগ্য অংশ খুবই কম। বাংলাদেশের মাটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসও রয়েছে। তাহলে কেন এই দেশগুলো প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ কিনতে ডলারের মজুদে হাত দিচ্ছে?
কারণ, সৌর এবং বায়ুশক্তি কাজে লাগাতেও বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন এবং মূল উপাদানগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। বায়ুভিত্তিক প্ল্যান্ট বিনির্মাণে প্রাথমিক পর্যায়ে যে টাওয়ার বানাতে হয়, সেটা ভারত থেকে ক্রেনে এনে করতে হয়। ভারত নবায়নযোগ্য ইকো-সিস্টেম তৈরি করেছে, কিন্তু সেটাও সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। এটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, চীনে উৎপাদিত সৌর প্যানেল সবচেয়ে সস্তা।
এ ছাড়াও, গ্রিডটি এমন জায়গায় তৈরি করতে হবে যেখানে বায়ু এবং সৌরশক্তি উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রেও বিনিয়োগ বা ঋণ যে কোনো একটা পথ বেছে নিতে হবে। কার্যকরী সিদ্ধান্ত নিতেও ৩-৫ বছর সময় লাগতে পারে।
সেক্ষেত্রে আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে, এমন দেশগুলোর জন্য বায়ু এবং সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানোর চেয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করা আকর্ষণীয় বিকল্প। আদানির সঙ্গে চুক্তির মতো চুক্তিগুলোর ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে এটা আশ্বস্ত করা খুবই প্রয়োজনীয় যে, তারা যে বিনিয়োগ করেছে তার ফল তারা বিনিয়োগের প্রত্যাশিত সময়সীমা অনুসারে ভোগ করবে। এখন বিনিয়োগ করে উৎপাদন শুরু করে ফেলার পরে কোনো সরকার এবং একক ক্রেতা যদি বিনিয়োগকারীকে বিভিন্ন ছাড়ের জন্য চাপ দেয় বা পণ্য দিতে অস্বীকার করে, তাহলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে সেটা কল্পনা করা কঠিন কিছু নয়।
তাই চুক্তির প্রতিটি শর্ত এবং সেসবের অর্থ সতর্কতার সঙ্গে বিচার করতে হবে। কেননা সবারই অধিকার আছে নিজের অনুকূলে চুক্তির বিধানগুলো নিজের মতো করে নির্ধারণের। এসব আলোচনায় বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগকারীর শক্তিশালী অবস্থান থাকে। সেটা হচ্ছে: হয় আমাদের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করুন নতুবা আমরা অন্য কোথাও চলে যাব; কিন্তু একবার বিনিয়োগ করা হলে, বিনিয়োগকারী টারবাইনগুলো ভেঙে অন্য কোথাও যেতে পারে না। একবার বিনিয়োগ হয়ে গেলে সবকিছু ক্রেতার হাতে চলে যায়। তখন তারা হয় অর্থ প্রদানে বিলম্ব করতে পারে বা ছাড় চাইতে পারে।
শ্রীলঙ্কায় সংকটের সময় পুনর্বীকরণযোগ্য উৎস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী স্বাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের (আইপিপি) ক্ষেত্রে এটি ঘটেছে। সিলন বিদ্যুৎ বোর্ড (সিইবি) তার চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করেনি। আইপিপিদের জন্য দুটি পথ খোলা ছিল। এক. আইপিপিরা গ্রিড থেকে তাদের প্ল্যান্টের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারত; কিন্তু সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লোডশেডিং হতো এবং এখান থেকে আয় বন্ধ হয়ে যেত। অথবা তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে বিলম্বে হলেও অর্থ প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তদবির জারি রাখত। শেষের পথটি বেছে নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার আইপিপিরা এবং সেটা করেই তারা অর্থ ফেরত পেয়েছিলেন।
তবে, আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি দুটি উপায়ে পৃথক। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গোড্ডা প্ল্যান্টে প্রতি বছর ৭-৯ মিলিয়ন টন কয়লা প্রয়োজন। পুনর্বীকরণযোগ্য উৎস ব্যবহার করে যেসব প্ল্যান্ট চালানো হয় তাদের একটা ন্যূনতম ব্যয় করলেই চলে; কিন্তু কয়লা ব্যবহার করে একটি প্ল্যান্ট চালাতে গেলে অপারেটরের ক্রমাগত খরচ করতে হয়। দ্বিতীয় পার্থক্য হল গোড্ডা প্ল্যান্ট বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত নয়।
প্রথম পার্থক্যটি আদানিকে শ্রীলঙ্কার আইপিপিদের মতো কাজ করার সুযোগ দেয় না। কারণ, তাদের যেটা লোকসান হচ্ছিল সেটা প্ল্যান্ট তৈরির জন্য নেয়া ঋণ এবং বিনিয়োগকারীদের লাভের পরিমাণের হিসাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল; কিন্তু আদানিকে অন্যান্য খরচের সঙ্গে কয়লা পরিবহনসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় করতে হয়। সম্ভবত, এ কারণেই আদানি সময়মতো অর্থ প্রদানের জন্য জোর দিচ্ছে। এমনকি অর্থের জোগান না পেয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মালিকানাধীন কয়লা প্ল্যান্টগুলোও ধারণক্ষমতার চেয়ে কম উৎপাদন করছে।
দ্বিতীয় পার্থক্য হলো, আদানির প্ল্যান্ট ঝাড়খন্ড রাজ্যে যেখানে বাংলাদেশ সরকারের জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা কোন কাজে দেবে না। আবার ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের দাবি সমর্থন না করে উল্টা গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দিয়ে আদানির যন্ত্রণা লাঘব করছে, যাতে তার আর্থিক চাপ কম হয়।
ঝুঁকি প্রশমন
সৌদি আরব একটি প্রধান জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ। কোনো দেশ যদি জ্বালানিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, সেটি সৌদি আরবই। তবুও এটি তার পুনর্বীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষমতা বাড়াতে একাধিক চীনা সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। যদি সৌদি আরবের ক্ষেত্রে এটি হয়, তাহলে আর্থিকভাবে সীমাবদ্ধ বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার আশা করা কি বাস্তবসম্মত?
পরনির্ভরশীলতা দূর করা যায় না। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে; কিন্তু যেহেতু ফিনল্যান্ড রাশিয়ান সরবরাহের উপর অত্যধিক নির্ভরশীল ছিল না, তারা সুইডেন থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে সক্ষম হয়েছিল। দেখা যাচ্ছে যে আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুতের একমাত্র সরবরাহকারী ছিল না, তবে এটি ছিল বৃহত্তম। এমনকি অন্যান্য সরবরাহকারীদের অর্থ প্রদান না করায় তারাও সরবরাহ হ্রাস করেছিল।
সাধারণত, রাজনৈতিক কারণে একজন সরবরাহকারী পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। আদানি এবং অন্যান্য ভারতীয় সরবরাহকারীদের ক্ষেত্রে, সমস্যাটি উল্টা। তারা বিক্রি করতে চায় কিন্তু অর্থ না পাবার কারণে সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে একক সরবরাহকারীর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল না থাকা পরনির্ভরশীল হবার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
যাই হোক, সামষ্টিক-অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা বিলম্বিত করা বা চুক্তিবদ্ধ পরিষেবাগুলোর জন্য অর্থ প্রদান বন্ধ করে দিলে সমস্যাগুলো এড়ানো যায় না। ফিনল্যান্ড লোডশেডিং এড়াতে সক্ষম হয়েছিল কারণ তার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো ঋণ পাওয়ার মতো যোগ্য ছিল এবং নতুন সরবরাহকারীদের অর্থ প্রদানের জন্য তাদের পর্যাপ্ত তহবিল ছিল।
ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি ছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তন শক্তি উপযোগিতার জন্য অনেক ঝুঁকি তৈরি করে। এক্ষেত্রে ঝুঁকি-প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য; কিন্তু সবচেয়ে মৌলিক ঝুঁকি-প্রশমন কর্ম হলো সুষ্ঠু সামষ্টিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা। যদি এটি ব্যর্থ হয়, অন্য সবকিছুই নিরর্থক প্রমাণিত হতে পারে।
রোহান সামারাজিভা: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, লার্ন এশিয়া (LIRNEasia) ও এশিয়ার আইসিটি নীতি ও নিয়ন্ত্রণ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে