পাবলিক অডিট বিলের খসড়া উন্মুক্ত করার আহ্বান টিআইবির
পাবলিক অডিট বিল-২০২৪ এর খসড়া নিয়ে ’গোপনীয়তার চর্চায়’ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিতে অবিলম্বে তা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিলটির খসড়া ‘অংশীজনের জন্য কেন উন্মুক্ত করা হচ্ছে না’ তাও জানতে চেয়েছে টিআইবি।
বিলটিকে জনগুরুত্বপূর্ণ দাবি করে তা কেন কিছু সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, “গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র অর্থ মন্ত্রণালয়সহ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান, একটি দাতা সংস্থা এবং বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মধ্যে আবদ্ধ অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ‘পাবলিক অডিট বিল-২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিএজিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেবে এমন প্রত্যাশা তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কিন্তু খসড়া অডিট বিল পর্যালোচনা শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাসমূহ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ফলে অবস্থাদৃষ্টে এমন মনে হওয়া অমূলক নয় যে, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময়ের মতো এখনও সিএজিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আমলাতন্ত্রের হাতে করায়ত্ত করে রাখার পায়তারা চলছে।”
বিষয়টিকে ‘অনভিপ্রেত’ মন্তব্য করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “দীর্ঘ প্রত্যাশিত অডিট বিলের খসড়া মতামতের জন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের সম্পৃক্ততার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। প্রশ্ন হল, হিসাব নিয়ন্ত্রণ ও নিরীক্ষণ কি শুধু সরকারি এবং একটি প্রভাবশালী ঋণদাতা সংস্থার বিষয়?
“এই বিলটি রাষ্ট্রের জনগণের অর্থ-সম্পদ ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের আইনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ফলে এ বিলের বিষয়ে নাগরিক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত গ্রহণের বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে ‘মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রককে (সিএজি) বাজেট, নিয়োগসহ সব বিষয়ে সাংবিধানিক স্বাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করাসহ ২০ দফা সুপারিশ করেছিল টিআইবি।
এতে উল্লেখ করা হয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিএজিকে শক্তিশালীকরণের দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপন করে আসছি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে