Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

নিখোঁজ এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটের অনুসন্ধান ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

০ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটের অনুসন্ধান আবার শুরু করতে নীতিগতভাবে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রীসহ এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইট নিখোঁজ হয়ে যায়।

স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি সম্ভবত ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু দুইবার বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়ে উড়োজাহাজটির খোঁজে তল্লাশি চালানো হলেও উল্লেখ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার মালয়েশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্থনি লোক বলেন, মন্ত্রিসভা উড়োজাহাজটি খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামুদ্রিক অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান ‘ওশেন ইনফিনিটি’-এর সঙ্গে নীতিগতভাবে সাত কোটি ডলারের চুক্তি অনুমোদন করেছে।

‘নো ফাইন্ড নো ফি’(ফল না পেলে ফি নেই) শর্তের ভিত্তিতে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে মালয়েশিয়া সরকার। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী, উড়োজাহাজটির খোঁজ পেলেই কেবল ওশেন ইনফিনিটি কোম্পানিকে অর্থ দেবে মালয়েশিয়া। এর আগে একই শর্তের আওতায় ২০১৮ সালে ওশেন ইনফিনিটি তিন মাস উড়োজাহাজের খোঁজ করেছিল।

উড়োজাহাজটির খোঁজে মালয়েশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়া ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের ১ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে পানির নিচে অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল।

ইনমারসাট স্যাটেলাইট ও উড়োজাহাজটির মধ্যে হওয়া স্বয়ংক্রিয় সংযোগের তথ্যের ওপর নির্ভর করে অনুসন্ধানটি শুরু করা হয়। এ অনুসন্ধানে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার ব্যয় করা হয়। কিন্তু দুই বছর অনুসন্ধানের পরও উড়োজাহাজটির কোনো চিহ্নের খোঁজ না পেয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অভিযান বন্ধ করা হয়।

এরপরই ২০১৮ সালে মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধান সংস্থা ঔশন ইনফিনিটির ‘ফল না পেলে ফি নেই’ ভিত্তিতে তিন মাসের অনুসন্ধান প্রস্তাব গ্রহণ করে। কিন্তু তাতেও ফল মেলেনি। ফলে ২০১৮ সালের মে-মাসে খোঁজাখুঁজি বন্ধ করা হয়।

বিবিসি জানায়, নতুন অনুসন্ধান অভিযানে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটের খোঁজ চলবে।

ফ্লাইটটি ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ভোরে কুয়ালালামপুর থেকে উড্ডয়নের এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

এ পর্যন্ত আফ্রিকা ও ভারত মহাসাগরের উপকূল বরাবর সাগরজলে ভেসে আসা উড়োজাহাজের ৩০টি খণ্ডাংশ সংগ্রহ করা হয়; কিন্তু এর মধ্যে মাত্র তিনটি পাখার খণ্ডাংশ নিখোঁজ উড়োজাহাজ এমএইচ৩৭০-র বলে নিশ্চিত হয়।

উড়োজাহাজটির সম্ভাব্য অবস্থান এলাকার আয়তন হ্রাস করার আশায় অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষ বিশ্লেষণে ড্রিফট প্যাটার্ন ব্যবহার করা হয়।

এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটের নিখোঁজের বিষয়ে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ৪৯৫ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, বোয়িং ৭৭৭-কে অন্যপথে নিতে সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে এর কন্ট্রোল উদ্দেশ্য হাসিলে কাজে লাগানো হয়। কিন্তু কে এর জন্য দায়ী তদন্তকারীরা তা নির্ধারণ করতে পারেননি।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ