১৫ ঘণ্টার প্রেস কনফারেন্স করে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে একটি প্রেস কনফারেন্স চালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। রোববার প্রেসিডেন্টের দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এই প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির পূর্ববর্তী রেকর্ডকে অতিক্রম করেছেন।
৪৬ বছর বয়সী মুইজ্জু শনিবার (৩ মে) সকাল ১০টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা) থেকে সংবাদ সম্মেলন শুরু করে রোববার রাত ১২টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। শুধু নামাজের সময় সংক্ষিপ্ত বিরতি নেন তিনি। প্রেসিডেন্টের দপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, মোট ১৪ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ধরে চলা এই প্রেস কনফারেন্সটি বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সবচেয়ে দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে ইউক্রেনের জাতীয় রেকর্ড সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ১৪ ঘণ্টার একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাত ঘণ্টার আগের রেকর্ড ভেঙেছিলেন।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার এই দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানানো হয় প্রেসিডেন্ট দপ্তরের বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তথ্যনির্ভর, ভারসাম্যপূর্ণ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
প্রেস কনফারেন্স চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছাড়াও জনগণের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রশ্নের উত্তর দেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ২০২৩ সালে দায়িত্ব নেয়া প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু এবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)’র ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে মালদ্বীপের র্যাংকিংয়ে দুই ধাপ অগ্রগতিকে উদযাপন করছেন। তালিকায় মালদ্বীপ ১৮০টি দেশের মধ্যে ১০৪তম অবস্থানে উঠে এসেছে।
এ সময়ে প্রায় দুই ডজন সাংবাদিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের জন্য খাবারের আয়োজনও ছিল।
এই রেকর্ড মালদ্বীপের এক পূর্বতন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদের স্মরণ করিয়ে দেয়, যিনি ২০০৯ সালে বিশ্বের নজর কাড়তে পানির নিচে প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক আয়োজন করেন। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হুমকির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে ভারতের মহাসাগরে স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে ওই বৈঠক করেন নাশিদ ও তার মন্ত্রীরা, যা জাতীয়ভাবে সম্প্রচারিত হয়েছিল।
১ হাজার ১৯২টি ছোট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের কাতারে রয়েছে, যেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি দেশের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে