Views Bangladesh Logo

‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক নয়’

Masum   Hossain

মাসুম হোসেন

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় সমন্বয়করা। তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক নয়। সেইসঙ্গে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব এককভাবে দখলে নেয়ার অভিযোগও উঠছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সমন্বয়কদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংগঠনটি গণঅভ্যুত্থানে জনগণের সফলতাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ভিন্ন কোনো নামে রাজনৈতিক সংগঠন করতে পারতেন।

জনগণের রক্তের ওপর দিয়ে নিজেদের স্বার্থে রাজনৈতিক সংগঠন করা অনুচিত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়ার সমন্বয়ক ও ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নেহাল বলেন, ‘রাজনৈতিক শক্তি ছাড়া আন্দোলন সফল হয়নি। দেশের সর্বস্তরের জনগণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একত্রিত হয়েছিলেন। সেই নাম ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক সংগঠন করা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।’

বগুড়ায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত হাসান বলেন, ‘আমাদের বুক, পিঠ ও রক্তের ওপর দিয়ে গড়ে উঠেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই নামে রাজনৈতিক সংগঠন জনগণ গ্রহণ করবে না। আন্দোলনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। ফলে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠন এক নয়।'

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংগঠনে অনেককে দেখা যায়, যারা আন্দোলনে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেননি। এটি রাজনৈতিক না হয়ে অরাজনৈতিক সংগঠন হলে এতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ থাকত। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অংশগ্রহণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে; কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠন করার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এককভাবে কৃতিত্ব নেয়ার চেষ্টা করছে।’

গত বছরের ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার অনুমোদিত বগুড়ায় একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৭ সদস্যর সেই কমিটিতে সাতজন সমন্বয়ক ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনে রয়েছেন। আর অন্য পাঁচজন ওই সংগঠন থেকে বের হয়ে আসেন। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করেন না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়ার মুখ্য সংগঠক আজিম উদ্দীন। তিনিও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বগুড়ায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। আজিম উদ্দীন বলেন, ‘আমি আগে ছাত্র অধিকার পরিষদের বগুড়ার জেলার প্রচার সম্পাদক ছিলাম। পরে সংগঠন থেকে বের হয়ে আসি। এখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে রয়েছি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আমাদের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ