Views Bangladesh Logo

চট্টগ্রামে ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামি মো. হাসান (৩৭)। শুক্রবার (২ মে) রাতে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত হাসান চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন পশ্চিম শহীদ নগরের মো. আলমের ছেলে।

শনিবার (৩ মে) সকালে বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, মামলার আরেক আসামি মো. মেহেদী হাসানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানার শহীদ নগরে অভিযুক্ত হাসানের বসতঘরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন এবং দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা পিস্তলে ইংরেজিতে লেখা ছিল: “AUTO PISTOL MADE IN USA” এবং অপর পাশে লেখা ছিল “7.65MM NO 3000”।

পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাসান হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন হাসান। শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, আমাদের ধারণা, উদ্ধার করা পিস্তলটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে সেভেন পয়েন্ট ৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তলের গুলির খোসা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই খোসাটি হাসানের কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তলের গুলির খোসা হতে পারে। এ জন্য পিস্তল ও খোসাটির ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ মার্চ ভোরে নগরীর চকবাজার চন্দনপুরা এলাকায় একটি প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করে থামিয়ে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ, যাদের বয়স ৩০ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তারা হলেন রবিন ও হৃদয়।

এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চান্দগাঁও খাজা রোড ও ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলাল ও মানিক নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদকেও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া গত ৬ এপ্রিল গভীর রাতে নগরীর সদরঘাট এলাকা থেকে মো. সজীব (২৯) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে সজীব জানান, তিনটি মোটরসাইকেলে সাতজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে দুটি মোটরসাইকেলে দুইজন করে এবং একটিতে তিনজন ছিলেন। এ মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী তামান্না শারমিন দুই নম্বর আসামি।

এদিকে পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্যান্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ