Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

স্বামীর কবরে মতিয়া চৌধুরীর দাফন

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

ওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে দুই দফা জানাজা শেষে তাকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হয়।

তবে দাফনের আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর কোনো আয়োজন ছিল না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান তার ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিচয় সবাই জানে; কিন্তু তাকে কোনো গার্ড অব অনার জানানো হয়নি। ’

মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে মরদেহ হাসপাতাল থেকে রমনায় তার বাসভবনে নেয়া হয়। সেখানে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলে ভক্ত, অনুসারী ও স্বজনেরা ভিড় করেন। এখানে প্রথম জানাজা শেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় দফায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দাফন করা হয়।

এর আগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে মারা যান মতিয়া চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

বামপন্থি রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় মতিয়া চৌধুরীর। তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়, তাতে মতিয়া চৌধুরী সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আইয়ুব খানের আমলে চারবার কারাবরণ করেন তিনি। এরপর ১৯৬৫ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।

এ ছাড়াও শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।



মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ