Views Bangladesh Logo

আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের রেসে মোহামেডান

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বৈরথে আবাহনীর বিপক্ষে ৩৯ রানে জিতেছে মোহামেডান।

এই জয়ে লিগে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা আরো জোরালো হলো মতিঝিলপাড়ার দলটির। লিগের ১১তম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলে এখন আবাহনী ও মোহামেডান সমানে সমান। দুদলেরই অর্জন সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট করে।

নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ অবস্থান আবাহনীর। মোহামেডান রয়েছে দুইয়ে। এ পর্যন্ত দুদলই নয়টি করে জয় এবং দুটি করে ম্যাচ হেরেছে।

লিগের সবচেয়ে আর্কষণীয় ম্যাচে মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (১২ এপ্রিল) পরস্পরের মুখোমুখি হয় আবাহনী ও মোহামেডান।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আনিসুল ইসলামের সেঞ্চুরির সুবাদে ৪৮.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রানে থামে মোহামেডানের ইনিংস। জবাবে ৪৭.২ ওভারে ২২৫ রানে অলআউট হয় আবাহনী।

ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান আনিসুল। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে মোহামেডানের বিপক্ষে লড়াই জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল আবাহনী; কিন্তু অন্য ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন।

ইনিংসের শেষ দিকে জয়ের জন্য ৩০ বলে ৫০ রানের প্রয়োজন ছিল আবাহনীর। হাতে ছিল দুই উইকেট; কিন্তু স্কোর বোর্ডে ১০ রান তুলে গিয়েই শেষ উইকেটগুলো হারায় দলটি। ফলে মর্যাদার লড়াইয়ে দারুণ জয় তুলে নেয় মোহামেডান।

আনিসুল ও মাহিদুল ইসলাম অংকনের ব্যাটিং অ্যাকশানে মনে হচ্ছিল, মোহামেডানের স্কোর তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র; কিন্তু পরের দিকের ব্যাটিংধসে তাদের দলীয় রান পৌঁনে তিনশ’র ঘরেই পৌঁছাতে পারেনি।

দলটি পুঁজির পেছনে বড় অবদান রাখেন আনিসুল। মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপের মূল স্তম্ভই ছিলেন এই ওপেনার। ১১৮ বলে ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। তার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটি নেন আবাহনীর গতি তারকা নাহিদ রানা। আউট হওয়ার আগে ১৮টি চার ও দুটি ছক্কা সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান আনিসুল। আর ৫৫ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৮ রান করেন অংকন।

২২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় মোহামেডানের। এরপর ১২৩ রানের জুটি গড়েন আনিসুল ও অংকন। এ জুটি ভাঙার পর সেই অর্থে আর দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউই। অংকন আউট হওয়ার পর মুশফিক (২০) ও অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় (৩) ব্যাটিংয়ে হাল ধরতে পারেননি। আনিসুলময় ইনিংসে প্রথম ২৫ ওভারে ১৫৬ রান তুলে মোহামেডান। ৩৮.৩ ওভারে আনিসুল আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৭) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮) বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। টেলএন্ডাররাও নৈপুণ্য দেখাতে না পারায় ২৬৪ রানেই থামতে হয় মোহামেডানকে।

আবাহনীর পক্ষে ৪৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন নাহিদ রানা। দুটি করে উইকেট পান রাকিবুল, মাহফুজুর ও মৃত্যুঞ্জয়।

জয়ের জন্য ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে আবাহনী। তবে শান্ত ও মুমিনুলের ব্যাটে কিছুটা স্বস্তি ফেরে; কিন্তু আবাহনীর ব্যাটিং বিপর্যয় সেভাবে ঠেকাতে অন্যরা ভূমিকা রাখতে পারেননি।

৮০ রানের ইনিংস খেলে আবাহনীকে কক্ষপথে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যান শান্ত। অন্যপক্ষে মোহামেডানের হয়ে বোলিংয়ে জ্বলে ওঠেন পেসার এবাদত হোসেন। একাই চার উইকেট শিকার করেন এই বোলার। তার সঙ্গে সাইফউদ্দিন ও মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ