এমপি আনার হত্যা: চার্জশিট দিয়েছে ভারতীয় সিআইডি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় চার্জশিট দিয়েছে দেশটির সিআইডি পুলিশ।

ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় গত শনিবার (১৭ আগস্ট) বারাসাত আদালতে প্রায় ১২০০ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়।ভারতের আইন অনুযায়ী ঘটনার ৯০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সিআইডি সূত্রের খবর, চার্জশিটে গ্রেপ্তারকৃত ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার এবং মুহম্মদ সিয়ামের নাম আছে। তবে কী উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি চার্জশিটে। তদন্তকারীদের একাংশের ব্যাখ্যা, তদন্ত শেষ না হলে খুনের কারণ বলা যাবে না। তা ছাড়া, এই মামলায় মূল অভিযুক্তকে এখনও জেরা করা যায়নি।

১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভারতের কলকাতায় যান আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানে তার পূর্বপরিচিত বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন তিনি। ১৩ মে বেলা ২টার দিকে তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে গোপালের বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস। ২২ মে আনোয়ারুল আজীমের খুন হওয়ার খবর প্রকাশ হয়।

এ ঘটনার তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং বরাহনগর থানা জানতে পারে, নিউ টাউনের একটি আবাসনে নিয়ে এসে তাকে খুন করা হয়েছে। সিআইডি তদন্তভার নিয়ে ২২ মে জিহাদকে গ্রেপ্তার করে।

এছাড়া পুলিশ আমানুল্লাহ ওরফে শিমূল ভূঁইয়া, সিলাস্টি রহমান, ফয়জল এবং মুস্তাফিজুরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী এমপির বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন পলাতক। তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছে সিআইডি।

জিহাদ এবং সিয়ামকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি জানিয়েছিল, এমপি আনারের দেহের মাংস এবং হাড় পৃথক করে ফেলে অভিযুক্তরা। এর মধ্যে মাংসকে ছোট ছোট খণ্ড করে কমোডের মাধ্যমে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। হাড় ফেলা হয়েছিল ভাঙড়ের কাছে বাগজোলা খালে। সে সব উদ্ধার করলেও তা আদতে এমপিরই কি না, সে ব্যাপারে ফরেন্সিক রিপোর্ট আসেনি।

সিআইডি জানায়, ওই পরীক্ষার নিশ্চিত রিপোর্টের জন্য এমপির পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য তারা কলকাতা আসতে পারেননি।