মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পের পর জরুরি অবস্থা ঘোষণা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে আজ। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭। এর কিছুক্ষণ পর সেখানে আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৬.৪।
মিয়ানমারের পাশাপাশি আশেপাশের অঞ্চলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের কারণে মিয়ানমারের ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে শুক্রবার (২৮ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার (জান্তা সরকার) ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সরকারি এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জান্তা সরকার।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাণ্ডিত শিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া বড় ধরনের এই ভূমিকম্পের পর ব্যাংককের কর্তৃপক্ষ শহরটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
এই ভূমিকম্পে ব্যাংককের বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে শহরের উত্তর অংশে একটি ৩০ তলা নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুরের দিকে মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তরে।
এলাকাটি মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে। নেপিদোতে অবস্থানরত এএফপি-র এক প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিভিন্ন ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে।
ভূমিকম্পটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, চীন ও থাইল্যান্ডের অনেক দূরবর্তী এলাকায়ও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতেও কম্পন অনুভূত হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে