মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে জান্তা সরকারের দুটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে চালানো এ হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)।
জান্তা সরকার বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এই জোট বলছে, নেপিদো বিমানবন্দর, মিয়ানমার বিমান বাহিনীর ঘাঁটি এবং সেনা সদর দপ্তরকে লক্ষ্য করে ২৯টি ড্রোন ছোড়া হয়।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, পিডিএফের ছোড়া ড্রোনগুলির মধ্যে ৭টি ড্রোনকে গুলি করে তারা। যার মধ্যে একটি ড্রোন বিস্ফোরিত হয়ে বিমান ঘাঁটির রানওয়েতে আছড়ে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম এনপি নিউজ জানায়, ড্রোনগুলো বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে আঘাত হানতে ব্যর্থ হলেও একটি বিস্ফোরিত হয়েছে। এর ফলে বিমান বাহিনীর একটি রানওয়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, এনইউজির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এ হামলা চালিয়েছে পিডিএফ। যে দুটি স্থানে হামলা চালানো হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ছিল বিমান বাহিনীর ঘাঁটি। এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে, যেটির পতন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হয়েছিল। অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচিসহ তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সরকারের মন্ত্রিসভা, সংসদ সদস্য, ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারপর থেকে এনইউজি এবং অন্যান্য জান্তা সরকার বিরোধী দলগুলি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে টানা লড়াই করে আসছে। যার ফলে একের পর এক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে