Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

অশ্রুতে লেখা রবে যাদের নাম

Kamrul  Ahsan

কামরুল আহসান

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ছর ঘুরে গেল। দেখতে দেখতে চলে গেল ২০২৪ সাল। পৃথিবী আরেকবার পাক খেয়ে এলো সূর্যের চারপাশ। কত কথা, কত গল্প জমা হলো এই এক বছরজুড়ে। নতুন বছরে শুরু হবে নতুন গল্প। সেই গল্পে যুক্ত হবে না কিছু নাম। গত বছরে অনেক প্রিয় মানুষকে হারিয়েছি আমরা। কেউ হারিয়েছেন পরিবারের মানুষ, কেউ আত্মীয়স্বজন। পরিবার-পরিজন না হলেও এমন কিছু মানুষ আছেন যারা হৃদয়ের বন্ধনে যুক্ত হন পরম বন্ধুর মতো, আত্মীয়স্বজনের মতোই। বছর শেষে তাদের নাম তালিকাভুক্ত হয় সালতামামির খাতায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধার্থে পত্রিকাগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে- ‘এ বছর যাদের হারালাম’ শিরোনামে। যেন কিছু নাম, কিছু সংখ্যা, কিছু ব্যক্তিবিশেষ। কিন্তু আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে তাদের অবদান এতই উজ্জ্বল যে, কেবল জীবনবৃত্তান্তের হিসেবে তাদের ধারণ করা যায় না। চোখের আড়ালে চলে গেলেও বারবার তাদের নাম লেখা হতে থাকে চোখের পানিতে।

সংস্কৃতি অঙ্গনের বেশ কিছু বরেণ্য মানুষকে আমরা এ বছর হারিয়েছি। কবি-সাহিত্যিক-গবেষক-সংগীতশিল্পী-সুরকার-সাংবাদিক-অভিনেতাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশেষ মানুষ প্রয়াত হয়েছেন। তাদের জন্য আমাদের এই শোক কখনো থামবে না। এই দেশের জন্য এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।

যেমন, কবি হেলাল হাফিজের কথাই যদি বলি, বছর শেষে তিনি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। ১৩ ডিসেম্বর আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। জনপ্রিয় এই কবির মৃত্যুতে সারা বাংলায় একরকম কান্নার রোল পড়ে গিয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে গিয়েছিল তার ভক্ত-পাঠকের বিলাপে। স্লোগানের কবি, প্রেমের কবি হিসেবে খ্যাত হেলাল হাফিজ ছিলেন বাংলা কবিতার বরপুত্র। স্বাধীনতার পর থেকেই তার নাম মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে। মাত্র একটি কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ লিখে পেয়েছিলেন তারকাখ্যাতি। প্রচণ্ড জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও থাকতেন অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালেই। সেই আড়াল থেকে আরও আড়ালে চলে গেলেন। কিন্তু কবির তো মৃত্যু নেই। যতবার উচ্চারিত হবে, ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ ততবারই তিনি ফিরে আসবেন।

হেলাল হাফিজের মৃত্যুর শোক সইতে না সইতেই আমরা আরেক মৃত্যুর খরব পেলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ চলে গেলেন গত ২০ ডিসেম্বর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনিও অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। পরিণত বয়সেই বিদায় নিলেন। তাও সব মৃত্যুই তো বেদনার। গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র মেরাতের স্বপ্ন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা করেছে। সেই স্বপ্নযাত্রায় একজন পথিক ছিটকে পড়লেন। তার জায়গায় এখন অন্য কেউ আসবেন। চেয়ারের শূন্যতা পূরণ হয় যায় দ্রুতই কিন্তু ব্যক্তির শূন্যতা তো কখনো পূরণ হয় না। আইনজীবী হিসেবে তিনি সবার শ্রদ্ধা-সম্মানের মানুষ ছিলেন। এই বিদায় তাই অত্যন্ত কষ্টের।

রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুও এ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত শোকের। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সিনিয়র সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে মতিয়া চৌধুরীর জন্ম। তিনি ছিলেন বর্তমান সময়ের কতিপয় প্রবীণ রাজনীতিবিদের একজন। অসীম সাহসিকতার জন্য আইয়ুব খান আমলে তিনি ‘অগ্নিকন্যা’ খেতাব পান। অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী সারা বাংলায় এক নামেই পরিচিত। দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালোবাসতো।

এ বছর বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পীকে হারিয়েছি আমরা। তাদের মধ্যে আছেন সাদি মহম্মদ, সাফিন আহমেদ, হাসান আবিদুর রহমান জুয়েল, খালিদ, পাপিয়া সারোয়ার। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের মৃত্যু ছিল সবচেয়ে সবচেয়ে মর্মান্তিক। ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। সন্ধ্যার পর থেকেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। অস্বাভাবিক এ মৃত্যুর খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায় দেশবাসী। শান্তশিষ্ট সাদি মহম্মদ এ কাজ করেছেন কেউ ভাবতেই পারেন না। রবীন্দ্রসংগীতকে এ দেশে তিনি ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ছিলেন অকৃতদার। সারাজীবন ব্যয় করেছেন সংগীত সাধনায়। রবীন্দ্রসংগীতের মতোই গভীর-গম্ভীর রাশভারী মানুষ ছিলেন তিনি। কী দরাজ আর মায়াভরা কণ্ঠস্বর! তার এমন মৃত্যুতে সারা দেশের মানুষ হাহাকার করে ওঠে, এ কেমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যু! কেন এই আত্মহত্যা! কতটা দুঃখ লুকিয়ে ছিল সাদি মহম্মদের বুকে তা অনেকেই জানতেন না। মাকে হারিয়ে খুব নিঃসঙ্গতায় ভুগছিলেন। সেই নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তির জন্য মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন। এমন মৃত্যু তো কারো কাম্য নয়। দেহগতভাবে সাদি মহম্মদ লোকান্তরিত হয়েছেন কিন্তু তার কণ্ঠসুর তো সারা বাংলায় বাজবে চিরকাল। যতদিন বাংলাভাষা থাকবে ততদিন রবীন্দ্রসংগীতও থাকবে। আর যতদিন রবীন্দ্রসংগীত থাকবে ততদিন সাদি মহম্মদও থাকবেন নিশ্চিতভাবেই।

আরেক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীকে আমরা হারিয়েছি এ বছর। পাপিয়া সারোয়ার চলে গেলেন ১২ ডিসেম্বর। দেখতেও যেমন সুন্দর ছিলেন কণ্ঠও ছিল তেমন মাধুর্যভরা। মিষ্টি গানের পাখি নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। রবীন্দ্রসংগীত ছাড়াও তিনি বেশ কিছু আধুনিক গানও গেয়েছেন। চলচ্চিত্রে তার কয়েকটি প্লেব্যাক এক সময় মানুষের মুখে মুখে ঘুরত। বিশেষ করে ‘নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন, নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি কারও ভোলার কথা নয়।

খালিদ, সাফিন আহমেদ, হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল তিনজনই ছিলেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। খালিদ মারা গেছেন ১৮ মার্চ, সাফিন মারা গেলেন ২৪ জুলাই, জুয়েল মারা গেছেন ৩০ জুলাই। বাংলা ব্যান্ডসংগীতকে তারা ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ৯০ দশকে যারা বেড়ে উঠেছেন তারা জানেন এই হারানোর বেদনা। এই তিন শিল্পীই অনেকটা অকালে বিদায় নিলেন। তিন জনপ্রিয় শিল্পীর পরপর মৃত্যুতে দেশের সংগীত অঙ্গন ঢেকে যায় বেদনার কালো ছায়াতে।

সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম চলে গেলেন ১৭ অক্টোবর মধ্যরাতে। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা। একাত্তরে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ সুর করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানটির সুর করেছিলেন এই খ্যাতিমান সুরকার।

সাংবাদিক ওমর ফারুক শামীমকে হয়তো অনেকে চিনবেন না। প্রতিদিনের সংবাদ, বাংলাদেশের খবর, জাগরণ, দিন পরিবর্তন, ভোরের আকাশ, বাংলাদেশ বুলেটিনসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। সর্বশেষ ছিলেন সংবাদ প্রকাশের বার্তা সম্পাদক। তিনি গত ১৯ জানুয়ারি রাত ৯টায় রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫১ বছর। হঠাৎ তার মৃত্যুর খবরে সাংবাদিক মহলে এক করুণ শোকের আবহ সৃষ্টি হয়। তাকে যারা কাছ থেকে চিনতেন তারা জানেন তিনি কতটা বন্ধুবৎসল মানুষ ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে সংবাদজগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।

অভিনেতা মাসুদ আলী খান স্বনামেই খ্যাত। বরেণ্য এই অভিনেতা দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে নাটকে-চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সারা বাংলার মানুষ তাকে এক নামেই চিনতেন। সেই ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই তিনি অভিনয় করছেন। সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় আসেন। অল্প কয়েকটি চলচ্চিত্রেই তিনি কাজ করেছিলেন। নিয়মিত অভিনেতা হলেও তিনি ঠিক পেশাদার অভিনেতা ছিলেন না। বেছে বেছে ভালো কাজ করতেন। নাটকেই বেশি অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি সরকারি চাকরি করতেন। কিন্তু তার অভিনয় যারা দেখেন তারা স্বীকার করবেন তিনি ছিলেন জাত অভিনেতা। এটা দুর্ভাগ্যজনক বটেই যে তার প্রতিভাকে এ দেশের নির্মাতারা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারেননি। গত ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মৃত্যুর আগে অনেক দিন তিনি নাট্যজগতের বাইরে ছিলেন। এই গুণী অভিনেতাকে যে ঠিক মতো কাজে লাগানো গেল না এই আফসোস হয়তো এই দেশের পরিচালকদের অনেক দিন থাকবে। হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু নাটকে-চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

২০২১ সালে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হয় ‘প্রেত’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটক। জনপ্রিয় লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন আহির আলম। সেই নাটকে রুমি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন লম্বা-শ্যামলা এক যুবক। গমগমে তার কণ্ঠস্বর। বুদ্ধিদীপ্ত চোখমুখ! আর কী অভিনয়! অসংখ্য দর্শক মুগ্ধ হয়ে যান তার অভিনয় দেখে। সবাই জানতে পারেন সেই যুবকের নাম আহমেদ রুবেল। তারপর চলে গেল দীর্ঘ ২৩-২৪ বছর। আহমেদ রুবেল একের পর এক নাটকে অভিনয় করেন আর দর্শক মাতিয়ে তোলেন। অভিনয় করলেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও। সেদিন সন্ধ্যায় ছিল নুরুল আলম আতিকের নতুন সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’-এর বিশেষ প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীতেই যোগ দিতে আসছিলেন আহমেদ রুবেল। পথে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাংলাদেশে হেলাফেলা করে হলেও যারা টেলিভিশন নাটক, চলচ্চিত্র দেখেন তারাও আহমেদ রুবেলকে চিনতেন। রুচিশীল দর্শকের কাছে তার একটা বিশেষ পরিচিতি ছিল। দর্শকরা খুবই মুহ্যমান হয়ে পড়েন তার মৃত্যুতে।

অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর রশিদ ছিলেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাঙ্গনে তার বিশেষ পরিচিতি ছিল। কর্মজীবনে প্রথমে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক। এ দেশের অসংখ্য কৃতী কবি-সাহিত্যিক তার ছাত্র। সুফি দার্শনিক হিসেবেও তার এক বিশেষ পরিচিতি ছিল। বেশ উল্লেখযোগ্য কিছু অনুবাদ করেছেন। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি সুফি-ঘরনার বয়ান-কবিতা পোস্ট করতেন প্রায়ই, তার মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে এক গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।

গবেষক ড. গোলাম মুরশিদ মারা গেলেন ২২ আগস্ট। আশার ছলনে ভুলি (১৯৯৫), কালান্তরে বাংলা গদ্য (১৯৯২), রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া: নারীপ্রগতির একশো বছর (১৯৯৩), সমাজ সংস্কার আন্দোলন ও বাংলা নাটক (১৯৮৫), রবীন্দ্রবিশ্বে পূর্ববঙ্গ পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রচর্চা (১৯৮১), স্বাধীনতা সংগ্রামের সাংস্কৃতিক পটভূমি (১৯৭১), হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি, হিন্দু সমাজ সংস্কার আন্দোলন ও বাংলা নাটক (২০১২), মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর: একটি নির্দলীয় ইতিহাস (২০১০) ইত্যাদি গবেষণাকর্মে তিনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ১৯৪০ সালের ৮ এপ্রিল বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা গ্রামে জ্ন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেও তার মৃত্যু নিঃসন্দেহে আমাদের গবেষণা সাহিত্যের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক ছিলেন একাধারে ভাষাবিদ, গবেষক ও প্রাবন্ধিক। বাংলা বানান ও ব্যাকরণ নিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গবেষণা করেছেন। গত ২৪ জুলাই রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত্যুর এই তালিকা হয়তো আরও দীর্ঘ করা যায়। কিন্তু বিদায়ের দীর্ঘশ্বাস কখনো শেষ হয় না। যারা চলে গেলেন তাদের আমরা বিদায়ও জানাতে চাই না। আমরা চাই তাদের সৃজনে-কর্মে চিরকাল তারা আমাদের হৃদয়ে অম্লান হয়ে থাকুক।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ