Views Bangladesh Logo

‘প্রকাশ্যে জবাই করার’ স্লোগান দিয়ে বগুড়ায় অধ্যক্ষকে মারধর করলেন এনসিপির নেতাকর্মীরা

গুড়া হোমিওপ্যাথিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম মিল্লাত হোসেনকে মারধরের পর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজতে দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল পর্যন্ত বগুড়া সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন মিল্লাত হোসেন।

এর আগে গতকাল সোমবার (৫ মে) রাত আটটার দিকে বগুড়া জলেশ্বরীতলা এলাকায় নিজ চেম্বারে হামলার শিকার হন তিনি। পরে তাকে টেনেহিঁচড়ে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেন এনসিপির নেতারা। সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, অধ্যক্ষ মিল্লাতকে টেনেহিঁচড়ে ডিবি কার্যালয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেইসাথে তাকে মারধরও করা হচ্ছে। এই ঘটনায় নেতৃত্বে ছিলেন এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানী।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিতে মিল্লাতকে উদ্দেশ্য করে সানীকে বলতে শোনা যায়, ‘এ্যাক ছয় মাস আগে আলটেমেটাম দিছলাম, আমাকে দুর্বল মনে করছে। বেশি কথার মানুষ আমি না, এক কথার মানুষ। একবার বলছি মানে ওটা ওয়ার্নিং হয়ে গেছে। সময়মতো ধরে ফ্যালা দিছি। তুই আমার ভাইগরক ২০-২৫ বছর ধরে মারছু। দীলিপ রায়ের (স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি) কোনো সিন্ডিকেট রাখবো না, আমরা আসতেছি। হাসনাতের ওপর হামলা হইছে।’

ডিবি কার্যালয়ে মিল্লাতকে নেয়ার সময় পথে থেমে থেমে তাকে মারধর করা হয়। প্রকাশ্যে এ ধরণের ঘটনায় পুরো জলেশ্বরীতলা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেইসাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধরে ধরে জবাই করারসহ দলটির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, মারধরের শিকার অধ্যক্ষ মিল্লাত পানি পান করতে চান। ওই সময় বোতল তার মুখের সামনে ধরে পানি তার (মিল্লাত) মাথায় ঢালেন আবদুল্লাহ আল সানী।

অধ্যক্ষ মিল্লাত বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।

জানতে চাইলে জেলা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার ভিউজ বাংলাদেশকে বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হওয়া কোনো মামলায় অধ্যক্ষ মিল্লাতের নাম নেই। বর্তমানে তিনি সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকেই বলছেন তিনি (মিল্লাত) শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ মিল্লাতের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা না থাকলেও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ