চলতি অর্থবছরে চরম দরিদ্র হবে প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি: বিশ্ব ব্যাংক
মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রায় ৫ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের শিকার হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
সংস্থাটি বলছে, ব্যক্তিগত খরচ বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসের পেছনে বাধা হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়াও দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের মোট আয়ের অর্ধেক ব্যয় করছে খাদ্যসামগ্রী কিনতে, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
ব্যাংকটি বাংলাদেশের দারিদ্র্য ম্যাক্রো আপডেটে বলেছে, এছাড়াও প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মাঝারি দরিদ্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পিপিপি একটি পরিমাপ, যা বিভিন্ন দেশে পণ্য ও পরিষেবার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে মূল্য পরীক্ষা করে মুদ্রার আপেক্ষিক মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে।
বিশ্বব্যাংক চরম দারিদ্র্যকে সংজ্ঞায়িত করে একটি আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য আয়ের উপর ভিত্তি করে, যে পরিমাণটি হল- প্রতিদিন ২.১৫ ডলার। সংজ্ঞা অনুসারে, বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্যের হার আগের বছরের ৪.৯ শতাংশ থেকে আগামী অর্থবছরে বেড়ে ৫.১ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
মাঝারি দারিদ্র্যের হার ২৯.৪ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা এক বছর আগে ২৯.৩ শতাংশ ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছর থেকে দরিদ্র জনসংখ্যার অনুপাত কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের এই অনুমান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অনুমানের সাথে অনেকখানি সাদৃশ্যপূর্ণ, যেখানে অত্যন্ত দরিদ্রের অনুপাত ৫.৬ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটির মতে, চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ত্বরান্বিত হওয়ায় অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং অর্থপ্রদানের ভারসাম্য ঘাটতি অনেকখানি বিস্তৃত হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে