সাইফ আলী খানের হামলা তদন্তে নতুন মোড়
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর ছুরিকাঘাতের ঘটনায় মুম্বাই পুলিশ যে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে, তাতে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। অভিনেতার ফ্ল্যাট থেকে সংগ্রহ করা ২০টি আঙুলের ছাপ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর মধ্যে ১৯টি ছাপই অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজাদের সঙ্গে মেলেনি।
চার্জশিট অনুসারে, কালো বাথরুমের দরজা, বেডরুমের স্লাইডিং দরজা এবং আলমারির দরজায় পাওয়া ফিঙ্গারপ্রিন্ট শরিফুলের সঙ্গে মেলেনি। কেবল একটি আঙুলের ছাপ, যা ওই ভবনের অষ্টমতলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেটির সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে।
তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আঙুলের ছাপে মিল পাওয়ার সম্ভাবনা হাজারে একভাগ। কারণ, একাধিক ব্যক্তি ফ্ল্যাটের জিনিসপত্র ব্যবহার বা স্পর্শ করেন। তাই শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয়।
মুম্বাই পুলিশের দাখিল করা এক হাজার পৃষ্ঠার চার্জশিটে শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাইফের শরীরে আটকে থাকা ছুরির টুকরো এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া ছুরির অংশ, যা অভিযুক্তের কাছ থেকে জব্দ হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে মিলে গেছে।
এই প্রেক্ষাপটে শরিফুল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচে আদালতে বিরোধিতা করেছে মুম্বাই পুলিশ। তদন্ত এখনো চলমান এবং মামলার শুনানিতে আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
১৬ জানুয়ারি রাতে বান্দ্রার বাড়িতে চুরির চেষ্টার সময় অভিনেতা সাইফ আলী খানের উপর হামলায় অভিযুক্ত হন বাংলাদেশি নাগরিক শরীফুল ইসলাম শেহজাদ। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সাইফ খানের বাড়িতে প্রবেশ এবং কাঠের অস্ত্র ও একটি হেক্সাব্লেড দিয়ে অভিনেতা ও তার কর্মী গীতার উপর হামলার অভিযোগে মামলাটি হয়। সাইফ খান গুরুতর আহত হন। অস্ত্রের একটি অংশ তার পিঠে আটকে যায়। যার ফলে একাধিক অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। ২১ জানুয়ারি তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে তিনি পাঁচদিন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে