হংকংয়ের ৪৯ সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র
মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগে হংকংয়ের ৪৯ জন সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিষেধাজ্ঞার আওতায় হংকংয়ের কোন কোন কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তা প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই ইস্যুতে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে শনিবার (৩০ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বছর থেকে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সেখানকার জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার দমনে তৎপরতা চালাচ্ছে চীন এবং এ ইস্যুতে বেইজিংয়ের সর্বশেষ সংযোজন আর্টিক্যাল ২৩ নামের জাতীয় নিরাপত্তা আইন, যা গত বছর পাস করেছে চীনা পার্লামেন্ট।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হংকংয়ের সরকারি কর্মকর্তা সেই আইন বাস্তবায়নের অজুহাতে সাধারণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের আকাঙ্ক্ষাকে নিষ্ঠুর ভাবে দমন করছেন।
পররাষ্ট্রম মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত বছর জনগণের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি হংকংয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার চূড়ান্ত দমনমূলক মনোভাব এবং কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে। এসব তৎপরতার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হংকংয়ের সেই সব কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ ওয়াশিংটন হংকংয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া সকল কর্মকর্তার নাম জানা না গেলেও কয়েকজনের নাম রয়টার্সকে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা । এরা হলেন- হংকংয়ের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রী পল লাম, পুলিশ প্রাধান রেমন্ড সিউ, এবং বিচারক অ্যান্ড্রু চিওয়াং, অ্যান্ড্রু চ্যান, জনি চ্যান, এস্থার তোহ এবং আমান্ডা উডকক।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে হংকংয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছিল। সেই বিলে উল্লেখ ছিল হংকংয়ের বিচার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা জাতীয় নিরাপত্তা আইন আর্টিক্যাল ২৩’র অপব্যবহার করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে