সিলেটে রাতভর বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
গতকাল রোববার (২ জুন) মধ্যরাত থেকে টানা ৬-৭ ঘণ্টার অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি উপচে সিলেট নগরীতে প্রবেশ করেছে। পানি প্রবেশ করেছে ওসমানী হাসপাতালেও।
রোববার দিবাগত রাতে সিলেট নগরীর উপশহর, যতরপুর, মেন্দিবাগ, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, কলাপাড়া, মজুমদার পাড়া, লালদীঘিরপাড়, তোপখানা, কাজির বাজার, তেররতন, সোবহানীঘাটসহ অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৮ মিলিমিটার।
সকাল থেকে সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপশহরের কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে।
গত দুদিন ধরে সিলেটে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পরিমাণ কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে এরমধ্যে আবারও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ডের।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সুরমা নদীর পানি সিলেট শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার এবং কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জ পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। তবে জেলার অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর সাংবাদিকদের বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্র চালু, শুকনো খাবার বিতরণসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।"
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে