Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

রাসমেলায় থাকছে না বাংলাদেশি স্টল, মন খারাপ কোচবিহারবাসীর

Tanmay Mondal, Kolkata

তন্ময় মণ্ডল, কলকাতা

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক ডামাডোল এবং ভিসা জটিলতায় যেতে পারছেন না বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাসমেলায় তাই এবার থাকছে না বাংলাদেশের কোনো স্টল। এ নিয়ে বিষাদের সুর উত্তরের এই জনপদটির মানুষের মাঝে।

কোচবিহার জেলার প্রধান উৎসব রাস ঘিরে কয়েকশ' বছর ধরে বসছে রাজ্যের প্রাচীনতম এই রাসমেলা। শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতেরও সবচেয়ে বড় মেলাটিতে পসরা সাজিয়ে বসেন হাজার হাজার ব্যবসায়ী, বেচা-কেনা হয় কোটি কোটি টাকার।

প্রতি বছর রাসমেলায় বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক স্টলে মেলে পদ্মার ইলিশ, ঢাকাই জামদানি, গুড়সহ নানা পণ্য। এসবের পসরা সাজিয়ে মেলার আকর্ষণ বাড়িয়ে তোলেন প্রতিবেশী দেশটির ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশি পণ্যের জন্য মুখিয়ে থাকেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরাও।

তবে এবারের রাসমেলায় বাংলাদেশের বদলে বসবে কলকাতার কয়েকজন ব্যবসায়ীর শাড়ির স্টল।

কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ভিউজ বাংলাদেশকে জানান, বাংলাদেশের কোনো ব্যবসায়ী এবার মেলায় আসতে পারছেন না। সেখানে অন্য দোকানপাট বসবে।

আগামী ১৫ নভেম্বর রাত ৮টায় 'রাসচক্র' ঘুরিয়ে উৎসবের সূচনা করবেন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি জেলা প্রশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। আগে রাসচক্র ঘোরানোর সম্মান পেতেন কোচবিহারের রাজা।

‘রাসচক্র’ হিন্দু ধর্মীয় আচারে বিরল অন্তর্ভুক্তি। বৌদ্ধ ধর্মচক্রের আদলে বাঁশের তৈরি প্রায় ৩০-৪০ ফুট উঁচু এবং ৮-১০ ফুট ব্যাসের চোঙাকৃতির কাঠামোতে কাগজের সূক্ষ্ণ কারুকাজ ও দেব-দেবির প্রতিমা ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। কীভাবে ও কেন এর সৃষ্টি তা জানা যায় না। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ধর্ম সমন্বয়ের সাক্ষ্য বহন করে এটি।

ঘটনাচক্রে বংশ পরম্পরায় রাসচক্রটি তৈরি করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের আলতাফ মিয়া। গত দু’বছর আলতাফেরই তত্ত্বাবধানে তার ছেলে আমিনুর হোসেন বানাচ্ছেন এটি।

কোচবিহারের স্কুলশিক্ষিকা মিলি দাস বলেন, 'পরিবারের সবাইকে নিয়ে প্রতি বছরই রাসমেলায় যাই। বাংলাদেশের স্টলগুলো থেকে কতো কী কিনি। যতোই হোক, আমার মায়ের দেশ। এবার ওরা আসছেন না। এতে মন খারাপ তো একটু হবেই'।

কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, এ বছর এভাবেই মেলা চলুক। দোকানের সংখ্যা তো কমছে না, বরং গত বছরের চেয়ে বাড়ছে।

এবারের রাসমেলায় বসবে সরকারি দপ্তরগুলোর নানা পণ্যের স্টলও।

বনবিভাগের এডিএফও বিজন কুমার নাথ বলেন, 'আমাদের স্টলে সুন্দরবনের খাঁটি মধু ও খেজুর কিনতে পারবেন ক্রেতারা'।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ