Views Bangladesh

Views Bangladesh Logo

সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ১৪ ঘন্টায়ও কোনো মামলা হয়নি

 VB  Desk

ভিবি ডেস্ক

বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

বান্দরবানের রুমায় সোলালী ব্যাংকে ডাকাতি ও ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুটের ১৪ ঘন্টা পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে আজ বুধবার সকালে জেলাপ্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাজাহান।

ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টায় রুমা মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ার সময় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী মসজিদের সবাইকে জিম্মি করে। সেসময় তারা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার কে জানতে চায়। সবাই চুপ থাকলে এক পর্যায়ে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে সনাক্ত করে। তারপরে তাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাংকের গেইট ভেঙ্গে অফিসে ঢুকে। এরপর অফিসের সরঞ্জামাদি নষ্ট করে ও ব্যাংক নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ এবং আনসার সদস্যদের মারধর করে। এরপর কার্তুজসহ মোট ১৪টি আগ্নেঅস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ বিষয়ে রুমা সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার উথোয়াইচিং মারমা জানান, ডরমিটরি বাইরে যুবউন্নয়ন অফিসের পাশে গিয়ে চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে মুখে কালি লাগানো অপরিচিত ৩জন লোক অস্ত্রের মুখে তাকে দাড় করায়। তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে পকেটে থাকা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ব্যাংকের চাবি নিয়ে নেয়।

তিনি আরও জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী আসার পর ব্যাংকে গিয়ে দেখেন অফিস সরঞ্জামদি ছড়ানো ছিটানো রয়েছে। এছাড়া তার জানামতে ভল্টের ভেতর ১কোটি ৫৯ লাখ টাকা জমা ছিল। ভল্টের দুইটি চাবির মধ্যে তার কাছে ১টি এবং অপহরণের শিকার ম্যানেজারের নিকট অপরটি থাকত। ভল্ট না খোলা পর্যন্ত টাকা লুটের বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

এদিকে জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহিন বলেন, পুলিশের ৮টি চায়না রাইফেল, ২টি এসএমজিসহ ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি,আনসারের ৪টা শর্টগান ৩৫ রাউন্ড গুলিসহ ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে সন্ত্রাসীরা। তবে কে বা কারা এটি করেছে তা ক্রাইমটিম আসলে ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে তদন্ত করবে। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।

জেলাপ্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান সোনালী ব্যাংকের ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, ব্যাংকের ভল্ট চেক করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রাইমসিন টিম আসলেই বুঝা যাবে টাকা খোয়া গেছে কিনা? ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ, ৱ্যাব, সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মতামত দিন

মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে

ট্রেন্ডিং ভিউজ