গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাঁসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়: ইউনূস
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ফ্যাঁসিবাদের সব বৈশিষ্ট্য’ প্রদর্শনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনো ফ্যাঁসিবাদী দলের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়’।
দেশের রাজনীতিতে আপাতত এর ‘কোনো স্থান নেই’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) দেয়া সাক্ষাত্কারে ড. ইউনূস বলেন, শিগগিরই শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে প্রত্যর্পণ চাইবে না অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে অক্টোবরের শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ইউনূস বলেছিলেন, তার সরকার শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন চাইবে।
এফটি জানিয়েছে, এবার ইউনূস বলছেন, ‘তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা হয়েছে। রায় বের হলে আমরা ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। আমি মনে করি না, রায় ঘোষণার আগে আমাদের সেটি করার প্রয়োজন আছে’।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ৮৪ বছর বয়সী এই নেতাকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি লিখেছে, ‘স্বল্প মেয়াদে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোনো স্থান নেই’।
‘তারা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারা তাদের স্বার্থ বাড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করেছে’- সাক্ষাত্কারে বলেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক নির্বাচনে কারচুপি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের অভিযোগ এনেছে।
তার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশিরা দলটিকে রাজনীতি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত নাকি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত- তা নিয়ে বিতর্ক করছেন।
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, তার অনুমান, আওয়ামী লীগ ভেঙে যেতে পারে। তবে জোর দিয়ে বলেন, ‘অরাজনৈতিক সরকার’ হওয়ায় তার অন্তর্বর্তী প্রশাসন দলটির ভাগ্য নির্ধারণ করবে না।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ‘ঐকমত্যের’ ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। তাদের রাজনৈতিক জায়গা রাজনৈতিক দলগুলোকেই ঠিক করতে হবে’।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে