‘ট্রাম্পের ফেরায় ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে বড় পরিবর্তন ঘটবে না’
আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের বড় কোনো পরিবর্তন হবে না বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্ক পর্যালোচনা করি, তাহলে এটা সহজেই বোঝা যাবে যে, তাদের পররাষ্ট্রনীতি, কৌশলগত অবস্থান এবং জাতীয় লক্ষ্যগুলো অনেকাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে। যদিও ক্ষমতাসীন দল পরিবর্তন হয়েছে।
সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থের ইস্যুতে দুই দেশের দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা ‘পাতলা’।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক রফিকুল আলম বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান দুই দলের সরকারের সাথেই কাজ করেছে। আগের ট্রাম্প প্রশাসনের সাথেও কাজ করেছিলেন তারা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘ ও বহুমুখী।
‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থের অনেক বিষয় রয়েছে’- বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সম্প্রতি বলেছেন, তাদের জল্পনা-কল্পনার দরকার নেই এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের বড় কোনো পরিবর্তন হবে এমনটা ভাবা ঠিক হবে না।
২০২০ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পরে গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন ঘটে। দ্বিতীয় মেয়াদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে তিনি ফিরবেন আগামী ১৯ জানুয়ারি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে