উদ্বোধনী সংখ্যা ৫ : বাংলা সাহিত্যের সম্ভাবনা
আপোস করে বড় সাহিত্য লেখা সম্ভব নয়
তৃতীয় পর্বের পর
এক অভূতপূর্ব গণআন্দোলন আর জনযুদ্ধে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। এক, দুই, তিন করে এর মধ্যেই দেশটি পার করেছে স্বাধীনতার ৫২ বছর। রাষ্ট্রীয়ভাবে সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী; কিন্তু এই ৫২ বছরে একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কত দূর এগোলো। শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, বুদ্ধিজীবীতা সব কিছুতে কত পথ পাড়ি দিল বাংলাদেশ। এসব বিষয় নিয়ে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও চিন্তক সলিমুল্লাহ খানের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত মিনহাজের বিস্তারিত কথোপকথন হয়েছে। সেই কথোপকথনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো। আজ চতুর্থ পর্ব:
রাহাত মিনহাজ: বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীতার সঙ্গে এক সময় রাজনীতির সংশ্লেষ ছিল, যার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন আন্দোলনও সংঘটিত হয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কী?
সলিমুল্লাহ খান: খুব সংক্ষেপে বললে, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ হয়েছে। ওই পঞ্চাশ বছর আর বাংলাদেশ হওয়ার পরের পঞ্চাশ বছরের তুলনা করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন।
রাহাত মিনহাজ: বাংলাদেশের সমাজে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা, আন্দোলন, সার্বিকভাবে দেশ গঠনে বুদ্ধিজীবীদের অবদানকে আপনি কীভাবে দেখেন। ১৯৭১ সালে তাদের কী অবদান ছিল–এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই।
সলিমুল্লাহ খান: ১৯৭১-এর আগে থেকেই শুরু করি। ১৯২১ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর ১৯৭১ পর্যন্ত আমাদের একটা প্রধান দাবি ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, শিক্ষা ব্যবস্থা সর্বজনীন হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অর্থটা কি? এই অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে। তারপর ধীরে ধীরে ৫০ বছরে যে অগ্রগতি হয়েছে, তার একটা ফল হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া। বাংলাদেশের যে বর্তমান নেতৃত্ব, তারা সবাই পরোক্ষভাবে অথবা প্রত্যক্ষভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তারপর প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়–এই ৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে উঠে আসা। তখন আমাদের একটা বড় অঙ্গীকার ছিল মাতৃভাষা হবে শিক্ষার মাধ্যম।
পাকিস্তানের সব সরকারি কাজে বাংলাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তার নাম হচ্ছে রাষ্ট্রভাষা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলা ভাষার কী দশা হয়েছে? আমরা বলি যে, গাছে ওঠার পরে মই ফেলে দেয়া। আপনি একটু সৎভাবে চিন্তা করুন। এটা আমার বলার দরকার নেই। এটাই হচ্ছে বুদ্ধিজীবীতার নমুনা। আমরা বাংলা ভাষাকেতো শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করিনি। বরং তাকে বিদায় দেয়ার জন্য নানারকমের আয়োজন করছি। শুধু উচ্চ শিক্ষায় নয়, নিম্ন শিক্ষায়, মধ্য শিক্ষায়, এমনি একদম নিচের মাধ্যমে শিশু বাগান যেখানে আছে, সেখানেও আপনি ইংরেজি মাধ্যমে শেখানোকে আদর্শ করে নিয়েছেন। এই অবনতি কি করে হলো? তাতে তো আমি বুদ্ধিজীবীদের তরফ থেকে কোনো প্রতিবাদ দেখিনি।
রাহাত মিনহাজ: এ পর্যায়ে একটু জানতে চাই আপনার দৃষ্টিতে বুদ্ধিজীবী কারা?
সলিমুল্লাহ খান: বুদ্ধিজীবী কাকে বলে? শিক্ষক হচ্ছেন বুদ্ধিজীবীর একটা বড় অংশ। শিক্ষকদের কী অবস্থা সমাজে? বিয়ের বাজার বিবেচনা শুরু করে আপনিই বলুন। বিয়ের বাজারে যদি বলা হয়, জামাই পেশায় শিক্ষক, আপনি বলুন তখন অবস্থান কোথায়? এটাই হচ্ছে সমাজের দৃষ্টিকোণ। শিক্ষকরা করছেনটা কি আসলে? ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে খিচুড়ি পড়াচ্ছি আমরা। সাক্ষাৎকারের শুরুতে আপনি বলেছেন বাংলাদেশে ভুরি ভুরি বই প্রকাশিত হচ্ছে; কিন্তু বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার সব বইতো বাংলায় হচ্ছে না। পুস্তক প্রকাশনাকে যদি একটা শিল্প হিসেবেও দেখেন, আমাদের এই শিল্পতো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। বছরে কত কোটি টাকার বই বিক্রি হয়? ধরেন সত্তর কোটি কিংবা ১০০ কোটি টাকা; কিন্তু বর্তমান বাজারে যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, তার তুলনায় এই ১০০ কোটি টাকা কোনো ব্যাপার হলো। এই বিষয়টি কি লজ্জাকর নয়! আমাদের গোটা পুস্তক শিল্প এক ফেব্রুয়ারি মাসের মেলার ওপরে নির্ভর করে। তাতে সে ১০০ কোটি টাকা বিক্রি করে।
সারা বছরে ধরেন সে ১ হাজার কোটি টাকার বই বিক্রি করে। এই টাকাটা পরিমাণে আসলে কেমন? বর্তমানে আমাদের বাজেটের যে আকার, এত লাখ কোটি টাকার বাজেট আমাদের। সেখানে যদি একশ, দুইশ কিংবা পাঁচশ কোটি টাকার বইয়ের বাজার হয়, এইটা কোনো ব্যাপার হলো। এর কারণটা আসলে কী? আমাদের বইয়ের বাজার গড়ে উঠবে কোথা থেকে? অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। সেখানে কি বলব আমরা। পাকিস্তান আমলে যেমন উন্নতমানের সাহিত্য পত্রিকা ছিল। এখন কতকগুলো হয়েছে আমলাতান্ত্রিক পত্রিকা। কালি ও কলমের কথা আপনি জানেন। বাংলা একাডেমি থেকে উত্তরাধিকার নামের একটা পত্রিকা বের হয়, বিজ্ঞাপন না দেখলেতো সেটা বোঝা যাবে না। দেশের কোনো বইয়ের পত্রিকা বের হলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পত্রিকা কিনবে। অন্তত ছাত্ররা পড়বে; কিন্তু সেটা আজকাল করে না।
রাহাত মিনহাজ: কিন্তু আমাদের ভালো লেখা, ভালো সাহিত্য কেন হচ্ছে না?
সলিমুল্লাহ খান: সাহিত্যিক হিসেবে আপনাকে যদি লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়, তাহলে হয় আপনাকে রাজনৈতিক স্লোগান লিখতে হবে অথবা পর্নোগ্রাফি লিখতে হবে। এটা কি সাহিত্য? আমি যে মহৎ সাহিত্যের কথা বলেছিলাম, সেই মহৎ সাহিত্য এখন কোথায়? হাসান আজিজুল হকের লেখার প্রত্যেকটি অক্ষর বোধ হয় আমি পড়েছি। আমি সেখানে একজন মাঝারি মানের লেখকের বেশি কিছু দেখি না। তিনি শিক্ষক হিসেবে ভালো ছিলেন। কথা সুন্দর করে বলতেন। অর্থাৎ এ জন্য বলছি, জীবনে যদি আপনি আপোষ করেন, মিথ্যার সঙ্গে বসবাস করেন, তাহলে আপনার পক্ষে বড় সাহিত্য লেখা সম্ভব নয়।
রাহাত মিনহাজ: বুদ্ধিজীবীতা এবং ১৯৭১ নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই... যে প্রশ্নটা আমি আগেও করেছিলাম...
সলিমুল্লাহ খান: বুদ্ধিজীবীদের বিখ্যাত করেছে ১৯৭১। বুদ্ধিজীবীরা একাত্তর তৈরি করেছেন কি না, আমি জানি না। কিন্তু একাত্তর বুদ্ধিজীবীদের তৈরি করেছে। আমি বুদ্ধিজীবীদের অবদানকে অস্বীকার করছি না। ১৯২১ সালে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তারাই তো বুদ্ধিজীবী, তারাই তো শিক্ষক, তারাই তো একাত্তর নিয়ে এসেছেন; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় যেহেতু বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপকভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তানি ও তাদের দোসররা, তাই আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আলাদা করেই পেয়েছি; কিন্তু ১৯৫২ সালে যারা শহীদ হয়েছেন, আজকে তাদের স্ট্যাটাস কী? তাদের কি নাম দিয়েছেন আপনি? তাদের নাম দিয়েছেন ভাষাসৈনিক। আমরা কি এটা বুঝতে পারি না। এটা কি মহিলা সাহিত্যিকের মতো নয়? সাহিত্যিক তো সবাই সাহিত্যিক; কিন্তু আপনি নারী কিংবা মহিলা কবি বলেন কেন? তার মানে আপনি ছোট করেন। অর্থাৎ আপনি তাকে একটা পিঠ চাপড়াইয়া বললেন, মহিলা হলেও কবি! মেয়েরা লেখাপড়ায় এগিয়ে নেই বলেই তো এটা বলা হতো। তাহলে আমরা তো ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাদের শহীদই বলতাম; কিন্তু এখন বাংলা একাডেমি তাদের নাম দিয়েছে ভাষাসৈনিক। রফিক, জব্বার, বরকত, সালাম- দিয়ে ভাষাশহীদ লিখে। এটা কে করতে দিল আপনাকে?
রাহাত মিনহাজ: যদি একটু বুদ্ধিজীবীতার সংজ্ঞায় আসি স্যার...
সলিমুল্লাহ খান: আমি বলতে চাচ্ছি, বুদ্ধিজীবী বলতে যেটা বোঝায়, যারা সত্য কথা বলে এবং যারা লড়াই করে। বাংলাদেশে সেটা আমি এখন দেখি না। আপনি দেখলে আমাকে বলেন। পেশা হিসেবে বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা বেড়েছে। দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা বেড়েছে। দেশে এখন দেড়শ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে; কিন্তু দেশে সাহিত্যের অবস্থা খুবই খারাপ। আমি প্রমাণ দিলাম, আমাদের বাংলা ভাষার অবস্থা আরও খারাপ। আমাদের শিক্ষার অবস্থা খারাপ। এখনো আমরা সর্বজনীন করতে পারিনি প্রাথমিক শিক্ষা। বলে কি, সবাই ভর্তি হয়; কিন্তু ঝরে যায় পাঁচ বছরের মধ্যে। কেন ঝরে যায়, এই বিষয়ে কোনো আন্তরিকতা নেই। যে সব এনজিও করছেন, তারা আরও অন্যায় করছেন। বলছেন, সংবিধানকে লঙ্ঘন করছেন বুদ্ধিজীবীরা। পাকিস্তান আমলে আমরা সবাই বলেছিলাম, শিক্ষা সর্বজনীন করতে হবে, একমুখী করতে হবে। সবইতো আমরা বলেছি। সবার তখন লক্ষ্য ছিল মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিলুপ্ত করে স্কুল শিক্ষার সঙ্গে একীভূত করতে হবে। এটাতো গোপন কথা; কিন্তু এখন আপনি ইংরেজি মিডিয়াম শিক্ষা চালু করে আরও আলাদা করতেছেন।
দুই শাখার জায়গায় আপনি এখন দশ শাখা করছেন। এর জন্য বলি সব সময়ই আমরা দেখি, মধ্যবিত্ত শ্রেণি ক্ষমতা পাওয়ার পর, রাষ্ট্রের সঙ্গে ঐক্য হওয়ার পরে, আগে তো বিদেশি রাষ্ট্র ছিল, এখন তারা সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি করেছে। এর মূল্য দিতে হবে। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, There is no such thing as a free lunch অর্থাৎ বিনা পয়সায় কোনো লাঞ্চ হয় না। কেউ না কেউ এটা খাওয়ায়, বিল দেয়। আমরা মূল্যটা কোথায় দিচ্ছি? বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫২ বছর পেরিয়েছে। আপনি প্রশ্ন করেন, আমরা শতকরা একশ ভাগ শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিতে পেরেছি কি না। হিসাব নিয়ে গণ্ডগোল আছে। আমাদের সাক্ষরতার হার চুয়াত্তর নাকি ছিয়াত্তর, এই তর্ক আমি করব না; কিন্তু শতকরা একশ নয় কেন? কেন আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে মোট জাতীয় আয়ের শতকরা ছয় ভাগ খরচ করা হবে না। মাত্র দুভাগ কেন খরচ করা হবে?
দুর্নীতি সব জায়গায় হচ্ছে, আমি সে কথাটা বাদ দিচ্ছি। অর্থাৎ শিক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার কি না– নয়? স্বাস্থ্য আমাদের অগ্রাধিকার কি না- নয়? জনসেবা আমাদের অগ্রাধিকার কি না- নয়। ঢাকা শহরের মতো এত বড় শহরে উন্নতি হচ্ছে। যেগুলোকে আমরা দৃশ্যমান নিদর্শন বলি; কিন্তু ঢাকা শহরের রাস্তায় গেলে তো কোনো উন্নত দেশের শহর বলে মনে হয় না। নানা কারণে আমরা বিদেশে যেতে পারি। যোগাযোগ বেড়েছে। এগুলো উন্নতির লক্ষণ। আপনার বিমানে দ্রুতগতি হয়েছে। আপনি চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সারা পৃথিবী ঘুরে আসতে পারতেছেন; কিন্তু অন্য দেশের রাস্তার অবস্থা আর আমাদের দেশের রাস্তার অবস্থার তুলনা করেন আপনি। তখন তো বলবেন আমরা উন্নয়নশীল দেশ।
রাহাত মিনহাজ: কিন্তু অর্থনৈতিকভাবেও তো আমরা এগিয়ে যাচ্ছি...
সলিমুল্লাহ খান: এখন মজার কথা বলি। বাংলাদেশ এখন গৌরব করছে, আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হব আমরা। তারপর এত বছরের মধ্যে আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হব। এগুলো বলা ভালো; কিন্তু দেশে এত লোককে গরিব রেখে, দেশের এত লোকের মধ্যে কোনো কর্মসংস্থান না করে, উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে লাভ নেই। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ বাদ দেন, মার্কিন দেশের কথাও যদি আপনি ধরেন উন্নতিতে। মার্কিন দেশেরও শতকরা ১৫ জন দরিদ্র্সীমার নিচে বাস করে, তাদের হিসাব অনুসারে। তারা হলো ভিন্ন জাতির লোক। তারা কালো, এশিয়ান ও মেক্সিকান। তার মানে ধনতান্ত্রিক সমাজে যে উন্নতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি এবং তাতে যেসব সমস্যা সেই সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন কে করবে? যারা প্রশ্ন করেন, তাদেরই তো বুদ্ধিজীবী বলা হয়।
(ধারাবাহিকভাবে চলবে)
আরও পড়ুন
প্রথম পর্ব
আমাদের বুদ্ধিজীবীদের প্রধান সমস্যা দেশের ইতিহাস সম্পর্কে খণ্ডিত ধারণা নিয়ে অগ্রসর হওয়া
দ্বিতীয় পর্ব
দেশে এখন কূটনীতিই প্রবল, রাজনীতি আর নেই
তৃতীয় পর্ব
বাংলাদেশের সাহিত্যে আমরা এখন অন্ধকার যুগে আছি, আরবিতে যাকে বলে আইয়ামে জাহেলিয়া
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে