পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিধস: জীবিত কবর ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে
পাপুয়া নিউ গিনির একটি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে জীবিত কবর দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি প্রতিষ্ঠান।
জাতিসংঘের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এমন তথ্য জানায় পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় দুর্যোগ সেন্টার। সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ ব্যাপারে জাতীয় দুর্যোগ সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লুসেটা লাসো মানা বলেছেন, ভূমিধসের ঘটনায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে জীবিত কবর দেয়া হয়েছে। এতে এনগা প্রদেশের ইয়াম্বালি গ্রামে 'বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ' হয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ইয়াম্বালি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনাটি ঘটে। যখন বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে ছিল। এ দুর্ঘটনায় প্রায় দুই তলা উঁচু সমান ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গ্রামটির দেড় শতাধিক বাড়ি।
ইভিত কাম্বু নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি যে ধ্বংসস্তূপ ও মাটির ওপর দাঁড়িয়ে আছি তার নিচে আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য চাপা পড়েছে। কিন্তু আমি তাদের মরদেহ উদ্ধার করতে পারছি না। তাই আমি এখানে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছি।‘
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভূমিধসের ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও বাসিন্দারা এখনও কোদাল, লাঠি ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা করছেন এবং বেঁচে যাওয়া যে কোনো ব্যক্তির কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
উদ্ধারকারীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মাটির নিচ থেকে মানুষের চিৎকার শুনেছেন।
জাতিসংঘের অনুমান, ভূমিধসে ৬৭০ জন নিহত হয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যা জাতিসংঘের অনুমানের প্রায় তিনগুণ।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে ইয়াম্বালি গ্রামটি দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় সেখানে ভারী সরঞ্জাম এবং সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে