৮ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমল’ মোকাবিলায় উপকূলের ৮ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
রবিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে জানিয়ে মহিববুর রহমান বলেন, “আমি সবাইকে শেষবারের মতো আহ্বান জানাব- কালবিলম্ব না করে যেসব এলাকা অ্যাফেক্টেড (আক্রান্ত) হওয়ার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে, সেসব এলাকা থেকে সবাই এক্ষুণি নিরাপদ আশ্রয়ে যান।”
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় ১৬ জেলার মধ্যে রয়েছে- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ৮ থেকে ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করে রেডি (প্রস্তুত) রেখেছি। সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিস্কুট, পানি ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে গেছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ের প্রথম ভাগ বাংলাদেশ অতিক্রম শুরু করবে। মধ্যরাতের মধ্যে ঝড়ের মূল অংশটি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।”
তিনি বলেন, “উপকূল অতিক্রমের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। ঝড়ের সময় উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। জোয়ার থাকলে এটি আরও বেশি হবে।”
সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকাটায় ঝড়ের কারণে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “ঝড়ের পরে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে অন্য এলাকার কর্মকর্তারা কাজ করতে পারেন সেজন্য টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুত রেখেছি।”
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে